ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি-জামায়াত একটুও পাল্টায়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত একটুও পাল্টায়নি। অতীতে সহিংসতা ও ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। এ নিয়ে তাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আবারও সেটার পুনরাবৃত্তি শুরু করেছে দল দুটি।

আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে পরিস্থিতি তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিশন প্রধান, জাতিসংঘের সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও সরকারের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

মোমেন বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় আমরা মর্মাহত। অবশ্য অতীতেও তারা এমন জ্বালাও পোড়াও করেছে। তাই এবার বিস্মিত হইনি আমরা।

তিনি বলেন, অতি দুঃখের সঙ্গে বলছি, প্রত্যাশা করেছিলাম সময়ের পরিক্রমায় দল দুটি বদলাবে।কিন্তু তারা পাল্টায়নি। আবারও সহিংসতা শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত।

এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘২০১৩ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার সহযোগীরা কয়েক হাজার গাড়ি ভাংচুর করে। পেট্রল বোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন দেয়। ওই সময় তাদের পেট্রল বোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ২০ সদস্যসহ ৪০০ এর বেশি লোক নিহত হয়।’

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহসমাবেশ নিয়ে কূটনীতিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যায় বিএনপি কর্মীরা ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে। তারা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। একটি পাবলিক বাসে আগুন দিয়ে একজন শ্রমিকের জীবন কেড়ে নেয়। এবার তাদের টার্গেট পুলিশ ও বিচার বিভাগ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। ছয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তাদের হামলায় আহত ৬৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ হাসপাতালে এবং অপরজনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি তারা পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ও অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করে।’

ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেসময় দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

পুলিশের উদ্দেশে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাল্টা জবাবে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ। ফলে ঢাকার নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। সেই সঙ্গে আহত হন অনেকে।

ওই দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে আওয়ামী লীগের কর্মীদেরও। এতে অনেকে আহত হন। সেই জেরে কয়েকজন নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। একই দিনে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি-জামায়াত একটুও পাল্টায়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত একটুও পাল্টায়নি। অতীতে সহিংসতা ও ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। এ নিয়ে তাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আবারও সেটার পুনরাবৃত্তি শুরু করেছে দল দুটি।

আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে পরিস্থিতি তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিশন প্রধান, জাতিসংঘের সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও সরকারের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

মোমেন বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় আমরা মর্মাহত। অবশ্য অতীতেও তারা এমন জ্বালাও পোড়াও করেছে। তাই এবার বিস্মিত হইনি আমরা।

তিনি বলেন, অতি দুঃখের সঙ্গে বলছি, প্রত্যাশা করেছিলাম সময়ের পরিক্রমায় দল দুটি বদলাবে।কিন্তু তারা পাল্টায়নি। আবারও সহিংসতা শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত।

এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘২০১৩ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার সহযোগীরা কয়েক হাজার গাড়ি ভাংচুর করে। পেট্রল বোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন দেয়। ওই সময় তাদের পেট্রল বোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ২০ সদস্যসহ ৪০০ এর বেশি লোক নিহত হয়।’

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহসমাবেশ নিয়ে কূটনীতিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যায় বিএনপি কর্মীরা ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে। তারা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। একটি পাবলিক বাসে আগুন দিয়ে একজন শ্রমিকের জীবন কেড়ে নেয়। এবার তাদের টার্গেট পুলিশ ও বিচার বিভাগ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। ছয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তাদের হামলায় আহত ৬৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ হাসপাতালে এবং অপরজনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি তারা পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ও অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করে।’

ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেসময় দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

পুলিশের উদ্দেশে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাল্টা জবাবে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ। ফলে ঢাকার নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। সেই সঙ্গে আহত হন অনেকে।

ওই দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে আওয়ামী লীগের কর্মীদেরও। এতে অনেকে আহত হন। সেই জেরে কয়েকজন নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। একই দিনে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।