১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলি আর্টিজান: ৭ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসা‌মিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ।

গত ১৫ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ তারিখ ঘোষণা করেন। গত ১১ অক্টোবর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে গোলাগুলির খবর পায় গুলশান থানা-পুলিশ। পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে আর্টিজানের ভেতর থেকে চালানো হয় হামলা। কয়েকদফা হামলায় গুরুতর আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান ও ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিম। র‍্যাবের পক্ষ থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

রাতভর এই পরিস্থিতির পর পরদিন সকালে (২ জুলাই) শুরু হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে ১২ ঘণ্টার জিম্মিদশার অবসান ঘটায়। মাত্র ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যেই সব সন্ত্রাসীকে নির্মূল করে ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’র পর জঙ্গিদের হাতে নিহত ২০ জনের মরদেহ বের করে নিয়ে আসা হয় হোলি আর্টিজান থেকে।

হলি আর্টিজান: ৭ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আপডেট : ০৮:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসা‌মিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ।

গত ১৫ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ তারিখ ঘোষণা করেন। গত ১১ অক্টোবর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে গোলাগুলির খবর পায় গুলশান থানা-পুলিশ। পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে আর্টিজানের ভেতর থেকে চালানো হয় হামলা। কয়েকদফা হামলায় গুরুতর আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান ও ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিম। র‍্যাবের পক্ষ থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

রাতভর এই পরিস্থিতির পর পরদিন সকালে (২ জুলাই) শুরু হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে ১২ ঘণ্টার জিম্মিদশার অবসান ঘটায়। মাত্র ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যেই সব সন্ত্রাসীকে নির্মূল করে ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’র পর জঙ্গিদের হাতে নিহত ২০ জনের মরদেহ বের করে নিয়ে আসা হয় হোলি আর্টিজান থেকে।