যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে শুনানি চলাকালে অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে স্লোগান দেয়া হয়। প্রতিবাদকারীদের গর্জনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সিনেটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যও থেমে যায়। খবর বিবিসি।
সিনেটের ভেতরে বহু প্রতিবাদকারী দাঁড়িয়ে `এখন যুদ্ধবিরতি চাই` বলতে বলতে শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন হোয়াইট হাউসের দেয়া ১০৬ বিলিয়ন ডলার তহবিলে সিনেটের অনুমোদন নিতে চাইছিলেন। এই তহবিলের মধ্যে ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে দেয়া হবে। প্রতিবাদকারীদের তোপের মুখে শুনানি পিছিয়ে দেয়া হয়।
ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ২৫তম দিনে গড়িয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে সাড়ে আট হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৫ হাজারের বেশি। প্রতিদিনিই সেখানে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি ২৩ লাখের বেশি মানুষের এই অঞ্চলে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এতে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় গাজাবাসী।
তবে এত কিছুর পরেও কেন গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, তা অনেকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ অক্টোবর) হোয়াইট হাউস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা যুদ্ধের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত অবস্থানের কারণ স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সঠিক সময় এখনও আসেনি।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতির সময় এখনও হয়নি। আত্মরক্ষার অধিকার আছে ইসরায়েলের। হামাস নেতাদের ধরাশায়ী করতে তাদের এখনও কাজ করতে হবে। এখন যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।`