বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বিদেশিদের রাজনৈতিক দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন নিয়ে জনমত যাচাইয়ের পরামর্শও তার।
মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সংলাপ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে বড় দুই রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অবস্থান দুই মেরুতে। এরমধ্যে গত শনিবার রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সহিংসতায় জড়িয়েছে দলটির নেতা–কর্মীরা। সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত।
এর প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন পর রাজনীতিতে ফিরেছে হরতাল–অবরোধের মতো কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতেও সহিংসতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
উদ্বুধ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের তাগিদ দিয়েছে আমেরিকা। মঙ্গলবার মার্কিন সরকারের এ বার্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান দেশটির দূত পিটার হাস।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার এত আগ্রহ ভালভাবে দেখছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের দেওয়া সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এদেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া উচিৎ। তাদের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা উচিৎ যে তারাও একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান করবেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা রাজনৈতিক অবস্থান নেবেন। তারা একটি দল করুন আর জনগণের কাছে দেখেন কতো ভোট পান।’
উন্নয়ন রোধ করতেই আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করার জন্যই তো তারা এসব করছে। তাদের উদ্দেশ্য তো মহৎ না। দেশটাতো তাদের, আমাদের আপনাদের সবার। দেশের যদি বদনাম হয়, সবার ক্ষতি হবে। তারা বোধহয় এ বিষয়টি চিন্তাই করে না।’
গত শনিবার বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা বাহিনীটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেক না দেক ইট ডাজেন্ট ম্যাটার টু আস। এগুলো নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’