গত শনিবারের সমাবেশে সহিংসতা করায় বিএনপি নিজেদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার গণভবনে তাঁর সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন এ কথা জানান সরকার প্রধান।
গত শনিবারের বিএনপির সমাবেশ কর্মসূচির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি–জামায়াত যে সন্ত্রাসী দল এটাই তারা আবার প্রমাণ করল। কানাডার আদালত কিন্তু কয়েকবার এ কথা বলেছে। মাঝে কিছুটা রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল। সরকার কোনো বাধা দেয়নি। তবে একটাই শর্ত ছিল ভাংচুর করবে না। মানুষের আস্থাও তাঁরা পাচ্ছিল। ২৮ তারিখ যে ঘটনা তারা ঘটাল; যেভাবে পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপর জনগণের ধিক্কার ছাড়া আর কিছু জুটবে না। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে। ইসরায়েল যেভাবে গাজায় হাসপাতালে হামলা করল, তার সাথে তফাৎ দেখতে পাচ্ছি না। এরপর নিজেরাই পালালো, এখন আবার অবরোধ। কিসের অবরোধ? কার জন্য অবরোধ?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৮ তারিখ উপমহাদেশে নদীর নিচে এত বড় টানেল আমরা করলাম। এটা দক্ষিণ এশিয়ায় আগে হয়নি। চট্টগ্রাম ব্যবসার কেন্দ্র। যখন উদ্বোধন তখন মানুষের ওপর হামলা। মানুষ খুন করছে। একদিকে পুলিশ অন্যদিকে সাংবাদিক। তাদের ওপরেই হামলা করছে। কারা করেছে নাম টাম সব। যা করেছে তা তো প্রকাশ্যে করেছে। গতকাল লালমনটিরহাটে যুবলীগের একজনকে হত্যা করেছে।’
বিএনপির স্বভাব বদলাবে না জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর যেভাবে চড়াও হয়েছে, বুঝলাম না কেন। তারা তো তাদের (বিএনপি) পক্ষেই কথা বলছিল। এতো রাগ কেন তাদের ওপর বুঝলাম না। কোনো কোনো টিভিতে আমি তো চার নম্বর পাঁচ নম্বরে থাকি। তারা (বিএনপি) তো যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছিল। তাহলে কেন? এদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ নেই। যতোই ভালো ব্যবহার করি স্বভাব বদলাবে না।’
বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আমার ধারণা, এরা নির্বাচন চায় না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চায়। গত কয়েক বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, এটা তো অস্বীকার করতে পারবেন না। কেউ কাজ করলেই খেতে পায়। মানুষকে কষ্ট দেওয়াই এদের চরিত্র। সন্ত্রাসীদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে, সেটাই দেওয়া উচিত। এটাই আমরা দেব।’