২ ছাত্রদল নেতাকে হত্যা পুলিশের কাপুরুষতার পরিচয়: রিজভী
- আপডেট সময় : ১১:২২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজ বিএনপির অবরোধ চলাকালে ছাত্রদলের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। পুলিশের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত।
রিজভী বলেন, নানাভাবে বলার পরেও নিহত দু’জনের লাশ এখনো তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়নি। অবিলম্বে নিহত রেফায়েত উল্লাহ ও বিল্লাল মিয়ার লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জোর আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা রেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া। সকালে বিএনপির অবরোধে পুলিশ তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আত্মত্যাগের অঙ্গীকারে বলিয়ান নেতা-কর্মী নিজের জীবনকে তুচ্ছ করেও অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে এগিয়ে চলেছে। এতে নিহত হন ছাত্রদলের রেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়া। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মহান শহিদ হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমস্ত নিয়মকানুনকে পদদলিত করে জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য শেখ হাসিনা পুলিশকে নির্বিচারে হত্যা করার লাইসেন্স দিয়েছে। বর্তমান পুলিশ বাহিনী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের লুন্ঠন, অর্থপাচার, অনাচার ও অবিচারের পাহারাদার। পুলিশ এখন আর রাষ্ট্রীয় বাহিনী নয়, এরা শেখ হাসিনার প্রাইভেট বরকন্দাজের ভূমিকা পালন করছে। এরা আইনানুগ আচরণ করতে ভুলে গেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আজ বিএনপির ডাকা ও সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল সমর্থিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিকে এরা রক্তাক্ত পন্থায় দমন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এরা ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অবরোধ কর্মসূচিকে বানচাল করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে।
পুলিশ কর্তৃক ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ ও কৃষক দল নেতা বিল্লাল মিয়াকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি আহতদের সুস্থতা ও নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
অপর এক শোকবার্তায় ছাত্রদলের এ দুই নেতাকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম। তারা আহতদের সুস্থতা কামনা ও নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।