০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ব্যর্থতার প্রতিবাদে জাতিসংঘ কর্মকর্তার পদত্যাগ

এক বিবৃতিতে ক্রেগ বলেন, চোখের সামনে গণহত্যা হতে দেখলেও তা থামাতে পারেনি জাতিসংঘ। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য মানবাধিকারভিত্তিক একক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে সোমবার এক্স-এ করা পোস্টে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা সরকার যেভাবে ইসরায়েলকে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে- তার ফলাফল এই গণহত্যা।

এদিকে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। প্রাণ গেছে অন্তত ৫০ জনের। খান ইউনিস, জেনিন ক্যাম্প ও পশ্চিমতীরেও হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় আবারও বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। এদিকে, অল্প সংখ্যক আহত ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসার জন্য মিশরে পাঠাতে প্রথমবারের মতো খোলা হয়েছে গাজার রাফাহ ক্রসিং।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্রতা বাড়ছে। মঙ্গলবার তিন দিকে থেকে গাজার মূল শহরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের সঙ্গে সংঘাতে ১১ সেনা নিহতের কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে, হুথির মতো গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান বাড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইরান।

গাজায় ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি এখন চলছে স্থল অভিযান।

মঙ্গলবার গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। এছাড়া, কিছু অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট উৎক্ষেপণ সেল ধ্বংস এবং অসংখ্য অস্ত্র বাজেয়াপ্তের কথাও জানানো হয়।

ইসরায়েলি বেশ কয়েকজন সেনা হত্যার দাবি হামাসের। ধ্বংস করা হয়েছে দুটি সাঁজোয়া যান। এছাড়া, সেনাদের দুটি দল ও যানবাহনে হামলার কথা জানিয়েছে হামাস।

গাজা উপত্যকায় গত ২৪ দিন ধরে সংঘাত চলছে। এ সময়ে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। চলমান হামলায় ৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। যা ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর সারা বিশ্বে সংঘাতের কারণে যত শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়েও বেশি।

গত ৭ অক্টোবর হামাস আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েলে। এতে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ব্যর্থতার প্রতিবাদে জাতিসংঘ কর্মকর্তার পদত্যাগ

আপডেট : ০৪:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

এক বিবৃতিতে ক্রেগ বলেন, চোখের সামনে গণহত্যা হতে দেখলেও তা থামাতে পারেনি জাতিসংঘ। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য মানবাধিকারভিত্তিক একক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে সোমবার এক্স-এ করা পোস্টে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা সরকার যেভাবে ইসরায়েলকে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে- তার ফলাফল এই গণহত্যা।

এদিকে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। প্রাণ গেছে অন্তত ৫০ জনের। খান ইউনিস, জেনিন ক্যাম্প ও পশ্চিমতীরেও হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় আবারও বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। এদিকে, অল্প সংখ্যক আহত ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসার জন্য মিশরে পাঠাতে প্রথমবারের মতো খোলা হয়েছে গাজার রাফাহ ক্রসিং।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্রতা বাড়ছে। মঙ্গলবার তিন দিকে থেকে গাজার মূল শহরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের সঙ্গে সংঘাতে ১১ সেনা নিহতের কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে, হুথির মতো গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান বাড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইরান।

গাজায় ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি এখন চলছে স্থল অভিযান।

মঙ্গলবার গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। এছাড়া, কিছু অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট উৎক্ষেপণ সেল ধ্বংস এবং অসংখ্য অস্ত্র বাজেয়াপ্তের কথাও জানানো হয়।

ইসরায়েলি বেশ কয়েকজন সেনা হত্যার দাবি হামাসের। ধ্বংস করা হয়েছে দুটি সাঁজোয়া যান। এছাড়া, সেনাদের দুটি দল ও যানবাহনে হামলার কথা জানিয়েছে হামাস।

গাজা উপত্যকায় গত ২৪ দিন ধরে সংঘাত চলছে। এ সময়ে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। চলমান হামলায় ৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। যা ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর সারা বিশ্বে সংঘাতের কারণে যত শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়েও বেশি।

গত ৭ অক্টোবর হামাস আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েলে। এতে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।