০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করছে বাংলাদেশ সরকার: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:২৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • ৭৬ দেখেছেন

বাংলাদেশ সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নিজস্ব প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করছে। ভঙ্গ করছে আন্তর্জাতিক নিয়মও। এমনটাই দাবি করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশ পুলিশ অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করেছে।’

ওই বিবৃতিতে সংস্থাটির ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, অনেক বাংলাদেশি বলেন যে অংশগ্রহণ ও ভোটদানকে নস্যাৎ করার জন্যই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এর ফলে তারা সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জোর দেয়া উচিত। বিরোধীদের টার্গেট করা, হয়রানি করা এবং কারাগারের আড়ালে নির্বাচনকে সুষ্ঠু হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।

এদিকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সকলের। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সকল রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার দায়িত্ব রয়েছে। আর আমরা বাংলাদেশে সেটিই চাই, যা বাংলাদেশের জনগণ চায়। বাংলাদেশে যেন শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। আমরা সরকারের সাথে, বিরোধীদের সাথে, সুশীল সমাজের সঙ্গে এবং অন্যান্য অংশীদারদের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাতে যুক্ত আছি এবং আমরা আমাদের এই কাজ চালিয়ে যাব।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করছে বাংলাদেশ সরকার: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

আপডেট : ০৭:২৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নিজস্ব প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করছে। ভঙ্গ করছে আন্তর্জাতিক নিয়মও। এমনটাই দাবি করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশ পুলিশ অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করেছে।’

ওই বিবৃতিতে সংস্থাটির ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, অনেক বাংলাদেশি বলেন যে অংশগ্রহণ ও ভোটদানকে নস্যাৎ করার জন্যই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এর ফলে তারা সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জোর দেয়া উচিত। বিরোধীদের টার্গেট করা, হয়রানি করা এবং কারাগারের আড়ালে নির্বাচনকে সুষ্ঠু হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।

এদিকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সকলের। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সকল রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার দায়িত্ব রয়েছে। আর আমরা বাংলাদেশে সেটিই চাই, যা বাংলাদেশের জনগণ চায়। বাংলাদেশে যেন শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। আমরা সরকারের সাথে, বিরোধীদের সাথে, সুশীল সমাজের সঙ্গে এবং অন্যান্য অংশীদারদের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাতে যুক্ত আছি এবং আমরা আমাদের এই কাজ চালিয়ে যাব।