মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যা হচ্ছে তা সরকারি নিপীড়ন: রিজভী
- আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এটা সরাসরি মির্জা আব্বাসের ওপর সরকারি নিপীড়ন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কারাগারে অসুস্থ বিএনপি নেতাদের হাসপাতালের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আজ বুধবার এসব মন্তব্য করেন রিজভী। এ সময় রিজভী কারাগারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর কারা কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের অভিযোগ করেন এবং নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে- তিনি নানা ধরনের ফন্দি করে আবারও ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন করতে চান। তিনি রাজনৈতিক সমঝোতা ও সম্প্রীতি এবং অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী নন। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলেই প্রধানমন্ত্রী মনে করেন তাঁর জমিদারিতে কেউ অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করছে। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেউ দাবি করলেই তিনি ক্ষুব্ধ ও বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন।’
২৮, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর আওয়ামী পুলিশ রক্তের যে হোলি খেলা খেলেছে সেটি নজিরবিহীন পৈশাচিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি দাবি করেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অনর্গল মিথ্যা কথা বলেছেন সারা জাতির সামনে। অথচ দেশবাসী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে সেটাকে পরিবর্তন করবেন কীভাবে? আওয়ামী লীগ শুধু বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ ও জখম করে হতাহত করছে না, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকেও রক্তাক্ত পন্থায় দমন করছে।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাক্ষুধা এতটাই তীব্র যে, তারা সারা দেশকে গোরস্তান বানিয়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। আওয়ামী লীগের ‘টপ টু বটম’ নেতা-কর্মীদের ভাষা একগুঁয়েমি গুন্ডা-সন্ত্রাসীদের মতো। এদের কাছে গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মূল্যবোধ, সুশাসন ও ন্যায়বিচারের কোনো মূল্য নেই। এরা অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রভু হয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেই কারণেই বিরোধীদলের আওয়াজকে নিস্তব্ধ করার জন্য নিজেদের মনের মতো করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়েছে।’
শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ‘ডান্ডালীগ’ গড়ে তুলেছেন বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ একযোগে ‘ডান্ডালীগ’ হিসেবে কাজ করছে। এরাই সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকছে। বিরোধী দলকে স্তব্ধ করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেড় দশকের আওয়ামী লুণ্ঠন ও অর্থপাচারের কাহিনীগুলো যেন সাধারণ জনগণ জানতে না পারে।