০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৯০ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৪:৫১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • ৭৪ দেখেছেন

কুইন্টন ডি কক ও ভ্যান ডার ডুসেনের বিশাল জুটির পর মার্কো জানসেন ও কেশব মহারাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে টেম্বা বাভুমার দল। ৩৫৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৬৭ রানে বেঁধে ফেলেছে প্রোটিয়ারা। জয় পায় ১৯০ রানে।

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়ের উইকেট হারায় কিউইরা। দলীয় আট রানে কনওয়েকে ফেরান মার্কো জ্যানসেন। মাত্র দুই রান করেন কনওয়ে। আরেক ওপেনার উইল ইয়ং আটকে যান ৩৩ রানে। তাকে পেরান জেরাল্ড কোয়েৎজে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাচিন রবীন্দ্র এ দিন ব্যর্থ হন। ১৬ বলে ৯ রান করে জ্যানসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।

স্কোরবোর্ডে ১০০ রান তুলতেই কিইউরা হারায় ছয় উইকেট। সেই জায়গা থেকে ম্যাচে ফেরা ছিল প্রায় অসম্ভব। সেটি তারাও পারেওনি। গ্লেন ফিলিপসের ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার জয় পাওয়ার অপেক্ষা বাড়িয়েছে খানিকটা। পুরো ইনিংসে মাত্র তিনজন কিউই ব্যাটার দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পেরেছেন। এমন ভরাডুবির দিনে শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রানে থামে কিউইরা। প্রোটিয়াদের পক্ষে কেশব মহারাজ নেন চার উইকেট। জ্যানসেন পান তিনটি।

টস জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। দলীয় ৩৮ রানে ভাঙে প্রোটিয়াদের উদ্বোধনী জুটি। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ২৪ রানে ফেরান কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। তবে, উদ্বোধনী জুটিতে ভালো করতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেটে কিউইদের হতাশ করেন কুইন্টন ডি কক ও ফর ডার ডুসেন। দুজনের ২০০ রানের জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় বড় সংগ্রহের ভিত। ডি কককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। আউট হওয়ার আগে ১১৬ বলে ১০ চার ও তিন ছক্কায় ১১৪ রান করেন ডি কক।

ডি কক আউট হলেও ডেভিড মিলারকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন ডুসেন। ৪৩ বলে ৭৮ রানের জুটি থামান সাউদি। সাউদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১১৮ বলে ৯ চার ও পাঁচ ছক্কায় ১৩৩ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেন ডাসেন। ৩০ বলে দুই চার ও চার ছক্কায় ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নিশামের ডেলিভারিতে ডেরিল মিচেলের অনবদ্য ক্যাচে পরিণত হন মিলার। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়ারা থামে ৩৫৭ রানে।

কিউইদের পক্ষে সাউদি দুই উইকেট নেন। নিশাম ও বোল্ট পান একটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩৫৭/৪। (বাভুমা ২৪, ডি কক ১১৪, ডুসেন ১৩৩, মিলার ৫৩, ক্লাসেন ১৫*, মার্করাম ৬* ; বোল্ট ১০-১-৪৯-১, হেনরি ৫.৩-০-৩১-০, সাউদি ১০-০-৭৭-২, স্যান্টনার ১০-০-৫৮-০, ফিলিপস ৭-০-৫২-০, রবীন্দ্র ২-০-১৭-০, নিশাম ৫.৩-০-৬৯-১)।

নিউজিল্যান্ড : ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭/১০। (কনওয়ে ২, ইয়ং ২৩৩, রবীন্দ্র ৯, মিচেল ২৪, লাথাম ৪, ফিলিপস ৬০, স্যান্টনার ৭, সাউদি ৭, নিশাম ০, বোল্ট ৯, হেনরি ০*; জ্যানসেন ৮-১-৩১-৩, লুঙ্গি ৬-১-২৮-০, রাবাদা ৬-২-১৬-১, কোয়েৎজে ৬.৩-০-৪১-২, মহারাজ ৯-০-৪৬-৪)।

ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯০ রানে জয়ী।

১৯০ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট : ০৪:৫১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

কুইন্টন ডি কক ও ভ্যান ডার ডুসেনের বিশাল জুটির পর মার্কো জানসেন ও কেশব মহারাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে টেম্বা বাভুমার দল। ৩৫৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৬৭ রানে বেঁধে ফেলেছে প্রোটিয়ারা। জয় পায় ১৯০ রানে।

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়ের উইকেট হারায় কিউইরা। দলীয় আট রানে কনওয়েকে ফেরান মার্কো জ্যানসেন। মাত্র দুই রান করেন কনওয়ে। আরেক ওপেনার উইল ইয়ং আটকে যান ৩৩ রানে। তাকে পেরান জেরাল্ড কোয়েৎজে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাচিন রবীন্দ্র এ দিন ব্যর্থ হন। ১৬ বলে ৯ রান করে জ্যানসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।

স্কোরবোর্ডে ১০০ রান তুলতেই কিইউরা হারায় ছয় উইকেট। সেই জায়গা থেকে ম্যাচে ফেরা ছিল প্রায় অসম্ভব। সেটি তারাও পারেওনি। গ্লেন ফিলিপসের ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার জয় পাওয়ার অপেক্ষা বাড়িয়েছে খানিকটা। পুরো ইনিংসে মাত্র তিনজন কিউই ব্যাটার দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পেরেছেন। এমন ভরাডুবির দিনে শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রানে থামে কিউইরা। প্রোটিয়াদের পক্ষে কেশব মহারাজ নেন চার উইকেট। জ্যানসেন পান তিনটি।

টস জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। দলীয় ৩৮ রানে ভাঙে প্রোটিয়াদের উদ্বোধনী জুটি। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ২৪ রানে ফেরান কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। তবে, উদ্বোধনী জুটিতে ভালো করতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেটে কিউইদের হতাশ করেন কুইন্টন ডি কক ও ফর ডার ডুসেন। দুজনের ২০০ রানের জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় বড় সংগ্রহের ভিত। ডি কককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। আউট হওয়ার আগে ১১৬ বলে ১০ চার ও তিন ছক্কায় ১১৪ রান করেন ডি কক।

ডি কক আউট হলেও ডেভিড মিলারকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন ডুসেন। ৪৩ বলে ৭৮ রানের জুটি থামান সাউদি। সাউদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১১৮ বলে ৯ চার ও পাঁচ ছক্কায় ১৩৩ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেন ডাসেন। ৩০ বলে দুই চার ও চার ছক্কায় ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নিশামের ডেলিভারিতে ডেরিল মিচেলের অনবদ্য ক্যাচে পরিণত হন মিলার। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়ারা থামে ৩৫৭ রানে।

কিউইদের পক্ষে সাউদি দুই উইকেট নেন। নিশাম ও বোল্ট পান একটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩৫৭/৪। (বাভুমা ২৪, ডি কক ১১৪, ডুসেন ১৩৩, মিলার ৫৩, ক্লাসেন ১৫*, মার্করাম ৬* ; বোল্ট ১০-১-৪৯-১, হেনরি ৫.৩-০-৩১-০, সাউদি ১০-০-৭৭-২, স্যান্টনার ১০-০-৫৮-০, ফিলিপস ৭-০-৫২-০, রবীন্দ্র ২-০-১৭-০, নিশাম ৫.৩-০-৬৯-১)।

নিউজিল্যান্ড : ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭/১০। (কনওয়ে ২, ইয়ং ২৩৩, রবীন্দ্র ৯, মিচেল ২৪, লাথাম ৪, ফিলিপস ৬০, স্যান্টনার ৭, সাউদি ৭, নিশাম ০, বোল্ট ৯, হেনরি ০*; জ্যানসেন ৮-১-৩১-৩, লুঙ্গি ৬-১-২৮-০, রাবাদা ৬-২-১৬-১, কোয়েৎজে ৬.৩-০-৪১-২, মহারাজ ৯-০-৪৬-৪)।

ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯০ রানে জয়ী।