০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অক্টোবরে এলো প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার

রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে ফের ইতিবাচক ধারা দেখা দিয়েছে। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বড় ধসের পর অক্টোবর মাসও শুরু হয়েছিল সেই পতনের ধারায়। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বুধবার (১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে এমনটি জানা গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। আগের মাস সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

গত সেপ্টেম্বরে ১৩৩ দশমিক ৪৪ কোটি (১.৩৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসাবে যা ছিল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০২২ সালের অক্টোবরে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ (১.৫২ বিলিয়ন) ডলার।

সরকার রেমিটেন্সে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ তখন কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা আড়াই টাকা যোগ করে তার পরিবার-পরিজনকে (যার নামে প্রবাসী টাকা পাঠান) ১০২ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হয়। কিন্তু ২২ অক্টোবর থেকে ১০২ টাকা ৫০ পয়সার সঙ্গে আরও আড়াই টাকা অর্থাৎ মোট ১০৫ টাকা পাবেন।

এদিকে ডলারের দর আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। বুধবার থেকে রেমিটেন্স ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। এত দিন ১১০ টাকায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হতো।

২০২০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশে দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় লকডাউন; সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কমতে শুরু করে রেমিটেন্স। সেই ধাক্কায় ২০২০ সালের মার্চে রেমিটেন্স ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারে নেমে আসে। এপ্রিলে তা আরও কমে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলারে নেমে আসে। তবে এরপর আবারও বাড়তে থাকে রেমিট্যান্স।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

অক্টোবরে এলো প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার

আপডেট : ০৪:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে ফের ইতিবাচক ধারা দেখা দিয়েছে। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বড় ধসের পর অক্টোবর মাসও শুরু হয়েছিল সেই পতনের ধারায়। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বুধবার (১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে এমনটি জানা গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। আগের মাস সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

গত সেপ্টেম্বরে ১৩৩ দশমিক ৪৪ কোটি (১.৩৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসাবে যা ছিল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০২২ সালের অক্টোবরে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ (১.৫২ বিলিয়ন) ডলার।

সরকার রেমিটেন্সে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ তখন কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা আড়াই টাকা যোগ করে তার পরিবার-পরিজনকে (যার নামে প্রবাসী টাকা পাঠান) ১০২ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হয়। কিন্তু ২২ অক্টোবর থেকে ১০২ টাকা ৫০ পয়সার সঙ্গে আরও আড়াই টাকা অর্থাৎ মোট ১০৫ টাকা পাবেন।

এদিকে ডলারের দর আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। বুধবার থেকে রেমিটেন্স ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। এত দিন ১১০ টাকায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হতো।

২০২০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশে দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় লকডাউন; সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কমতে শুরু করে রেমিটেন্স। সেই ধাক্কায় ২০২০ সালের মার্চে রেমিটেন্স ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারে নেমে আসে। এপ্রিলে তা আরও কমে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলারে নেমে আসে। তবে এরপর আবারও বাড়তে থাকে রেমিট্যান্স।