জাতিসংঘের বিবৃতি ত্রুটিপূর্ণ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৩:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
গত শনিবার রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা–কর্মীদের তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ যে বিবৃতি দিয়েছে তাকে ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গত মঙ্গলবার বিবৃতি দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশন কার্যালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের দিকে অগ্রগামী বাংলাদেশে সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। সহিংসতায় উস্কানি সৃষ্টি করতে পারে এমন বিবৃতি প্রদান বা কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা উচিত। পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় বলেছে, খুব প্রয়োজন না হলে বাহিনীটি যেন বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্ত না নেয়। এমন সিদ্ধান্তের পেছনে সতর্কতা থাকা জরুরি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গত ৩০শে অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে ‘বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে’ অভিযুক্ত করা হয়। তিনি এখনও বন্দী রয়েছেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র বিরোধী নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় বলেছে, সরকারকে অবশ্যই এই সংকটময় সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা রোধে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করতে হবে এবং নির্বাচনের আগে, চলাকালীন এবং পরে সকল বাংলাদেশিদের জন্য মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে সমুন্নত রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিবৃতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমরা মনে করি ঠিকমতো তারা ইনফর্মড না। তাদের ইনফরমেশনে গ্যাপ আছে। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের ইনফরমেশনে গ্যাপ থাকাটা খুবই দু:খজনক। এ বিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। কারণ তাদের ন্যারেটিভ.. আপনারাই জানেন কি ন্যারেটিভ হয়েছে। ইউ ক্যান অলসো রেইজ দিস। বাট উই উইল ডু দ্যাট।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও হাসপাতালে হামলার ঘটনার পর জাতিসংঘের এমন বক্তব্য আশা করা যায়না।
গত শনিবার নয়াপল্টনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা–কর্মীরা। এক পর্যায়ে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সেও হামলা চালানো হয়। বিএনপি নেতা–কর্মীরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও হামলা চালায়। সেখানে ভাংচুরের পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিএনপি নেতা–কর্মীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাংচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।