ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রয়োজনে পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেবো : বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক করাখানার শ্রমিকদের নামে বহিরাগতরা সহিংসতা করছে বলে মনে করেন পোশাক কারখানার মালিকরা। বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, আন্দোলনকারীরা কোন কারখানায় শ্রমিক নয়। কাজ না করে আন্দোলন করলে শ্রমিকরা বেতন পাবে না বলেও জানান বিজএিমইএ সভাপতি। তিনি জানান, সহিংসতা করলে প্রয়োজনে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে বেতন বাড়বে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

বুধবার রাজধানীর উত্তরায় সংগঠনটির কার্যালয়ে মজুরিবিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা জানান।

ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে গাজীপুর ও সাভার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা। এ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন শ্রমিকরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানাসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন।

এর মধ্যে বুধবার নিম্নতম মজুরি বোর্ডের এক সভা শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা জানান, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারণ হবে। আর বর্ধিত এ বেতন কার্যকর হবে আগামী ডিসেম্বর থেকে। এরপরেও শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে।

মজুরিবিষয়ক সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, শ্রম আইনের কাঠামো অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরে মজুরি বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অযৌক্তিক।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘নতুন বেতন অনুযায়ী যেটা ঘোষণা করা হবে যদি সেটা ইমপ্লিমেন্ট না করা হয়, তারপরে শ্রমিকদের আন্দোলন আসতে পারে। এই সময় কিন্তু এ ধরনের আন্দোলন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

সভায় ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বহিরাগতরা কারখানা ভাংচুর করছে। ফুটেজ দেখানো ও মামলা করার পরও পুলিশ তাদের আটক করছে না।

কারখানা মালিকরা জানান, বিশ্ব মন্দায় ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য তৈরির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। ঘুষ দিতে হচ্ছে নানা পর্যায়ে। তা না হলে শ্রমিকদের বেতন আরও বাড়ানো যেত।

এর আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, নতুন বেতন নিয়ে সরকারের ঘোষণা বিজিএমইএ মেনে নেবে। তিনি বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি বোর্ড নভেম্বরের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করবে এবং সরকার যে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে আমরা পোশাক শিল্পের সকল উদ্যোক্তা সেটা মেনে নেব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রয়োজনে পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেবো : বিজিএমইএ

আপডেট সময় : ০৪:১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক করাখানার শ্রমিকদের নামে বহিরাগতরা সহিংসতা করছে বলে মনে করেন পোশাক কারখানার মালিকরা। বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, আন্দোলনকারীরা কোন কারখানায় শ্রমিক নয়। কাজ না করে আন্দোলন করলে শ্রমিকরা বেতন পাবে না বলেও জানান বিজএিমইএ সভাপতি। তিনি জানান, সহিংসতা করলে প্রয়োজনে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে বেতন বাড়বে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

বুধবার রাজধানীর উত্তরায় সংগঠনটির কার্যালয়ে মজুরিবিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা জানান।

ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে গাজীপুর ও সাভার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা। এ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন শ্রমিকরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানাসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন।

এর মধ্যে বুধবার নিম্নতম মজুরি বোর্ডের এক সভা শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা জানান, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারণ হবে। আর বর্ধিত এ বেতন কার্যকর হবে আগামী ডিসেম্বর থেকে। এরপরেও শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে।

মজুরিবিষয়ক সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, শ্রম আইনের কাঠামো অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরে মজুরি বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অযৌক্তিক।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘নতুন বেতন অনুযায়ী যেটা ঘোষণা করা হবে যদি সেটা ইমপ্লিমেন্ট না করা হয়, তারপরে শ্রমিকদের আন্দোলন আসতে পারে। এই সময় কিন্তু এ ধরনের আন্দোলন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

সভায় ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বহিরাগতরা কারখানা ভাংচুর করছে। ফুটেজ দেখানো ও মামলা করার পরও পুলিশ তাদের আটক করছে না।

কারখানা মালিকরা জানান, বিশ্ব মন্দায় ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য তৈরির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। ঘুষ দিতে হচ্ছে নানা পর্যায়ে। তা না হলে শ্রমিকদের বেতন আরও বাড়ানো যেত।

এর আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, নতুন বেতন নিয়ে সরকারের ঘোষণা বিজিএমইএ মেনে নেবে। তিনি বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি বোর্ড নভেম্বরের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করবে এবং সরকার যে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে আমরা পোশাক শিল্পের সকল উদ্যোক্তা সেটা মেনে নেব।’