প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা নিজেই। বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এ ঘটনার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন সংসদ নেতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বারবার আমার উপর আঘাত এসেছে। তারপরেও আমি বেঁচে গেছি। এবং আমি কাজ করেছি দেশের জন্য। কাজ করে যাচ্ছি। এখনও আমার উপর বারবার হামলা হচ্ছে। এমনকি দেশে না বিদেশেও প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। আমি বিস্তারিত বলব না। শুধু এটুকুই জানিয়ে রাখলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন আমি বিদেশ যাই সেখানেও আমাকে কিলার হায়ার করে মারার চেষ্টা হয়েছে। সেখানেও চেষ্টা করেছে ওই খালেদা জিয়ার ছেলে যেটা লন্ডনে বসে আছে সে আর তাদের যারা সন্ত্রাসী তারাই। তবে আমি কখনও এ ব্যাপারে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ না। জন্মালে তো মরতেই হবে। যতক্ষণ আমার শ্বাস আছে, এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।’
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৯ বার হামলার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। এ দিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। ওই হামলা আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আগত হন চারশর বেশি নেতা–কর্মী। তবে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এ ঘটনার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়টিও উঠে আসে। সরকার প্রধান বলেন, ‘অগ্নি সন্ত্রাস করে দুবৃত্তায়ণ করে এই দুর্বৃত্তদের ধরিয়ে দিক। দেশবাসীকে বলছি, আপনারাই এদের ধরিয়ে দেন। আপনার গাড়ি পোড়ায়, এদের ওই আগুনে ফেলেন। যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়াবে সেই হাত পুড়িয়ে দেন। তাহলে ওরা থামবে। এছাড়া থামবে না। এাট দেশের মানুষকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে করতে হবে। আমি মানুষকে বলব ভয়ের কিছু নেই এটা মুষ্টিমেয়। এদের বিরুদ্ধে এক হয়ে রুখে দাড়াতে আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’