ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমিনুল হকের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক ইউসুফ মিয়া।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেকে সরকার বিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সমাবেশে গ্রেফতারকৃত আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরে হামলা করে। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আক্রমণ করে। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা দুষ্কৃতিকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে।

একপর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাকরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরে ত্রিমুখীভাবে পুলিশের উপর ইট-পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এসময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল, দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্স আহত হন। এবং আসামিরা পুলিশের উপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, ২টি শর্টগান, ১টি চায়না রাইফেল, ১টি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

এর আগে বুধবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমিনুল হককে তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এক ক্ষুদে বার্তায় রিজভী বলেন, গুলশানে হোটেল আমারির উল্টো পাশের বিল্ডিং থেকে আমিনুল হক ও মিরাজকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। রাত পৌনে চারটার দিকে তাদের তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমিনুল হকের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় : ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক ইউসুফ মিয়া।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেকে সরকার বিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সমাবেশে গ্রেফতারকৃত আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরে হামলা করে। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আক্রমণ করে। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা দুষ্কৃতিকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে।

একপর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাকরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরে ত্রিমুখীভাবে পুলিশের উপর ইট-পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এসময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল, দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্স আহত হন। এবং আসামিরা পুলিশের উপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, ২টি শর্টগান, ১টি চায়না রাইফেল, ১টি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

এর আগে বুধবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমিনুল হককে তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এক ক্ষুদে বার্তায় রিজভী বলেন, গুলশানে হোটেল আমারির উল্টো পাশের বিল্ডিং থেকে আমিনুল হক ও মিরাজকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। রাত পৌনে চারটার দিকে তাদের তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।