ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

নেত্রকোণায় দুই বাসে আগুন

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৮৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দিনের মতো চলা অবরোধের মধ্যে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় দুইটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে হিরণ এন্টারপ্রাইজ নামের বাস পুড়ে ছাই হলেও হিমাচল এন্টারপ্রাইজ নামের বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হওয়ায় আংশিক পুড়েছে।

বুধবার রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং অবস্থায় থাকা বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হিরন এন্টারপ্রাইজ বাসের মালিখ মো: হিরণ মিয়া বলেন, ‘মদনের উচিৎপুর ঘাট স্ট্যান্ড থেকে চট্রগ্রামে চলাচল করে আসছিল বাসটি। অবরোধের মধ্যে কেন্দুয়া বাসস্ট্যান্ডে বাসটি পার্কিং অবস্থায় রাখা হয়েছিল। বাসের মধ্যে হেলপার থাকতো। গতরাত সোয়া তিনটার দিকে ফোনে জানতে পারি বাসটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। আগুন দেখে হেলপার বাস থেকে বের হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। ততক্ষণে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে হিরণ এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটি পুড়ে গেছে। আর হিমাচল এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: লুৎফর রহমান লুৎফর রহমান জানান, রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে দুর্বৃত্তরা বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং অবস্থায় থাকা বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পৌনে তিনটার দিকে টহল পুলিশ বাসস্ট্যান্ডে বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র লুৎফর রহমান আরো জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।থানায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জেলা জুড়ে অবরোধের কোন প্রভাব নেই জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা শহরের পারলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রেলও চলছে স্বাভাবিক। তাছাড়া জেলার হাওরাঞ্চল দিয়ে ধনু নদীর নৌপথেও নৌ যান চরছে স্বাভাবিকভাবেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেত্রকোণায় দুই বাসে আগুন

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দিনের মতো চলা অবরোধের মধ্যে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় দুইটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে হিরণ এন্টারপ্রাইজ নামের বাস পুড়ে ছাই হলেও হিমাচল এন্টারপ্রাইজ নামের বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হওয়ায় আংশিক পুড়েছে।

বুধবার রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং অবস্থায় থাকা বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হিরন এন্টারপ্রাইজ বাসের মালিখ মো: হিরণ মিয়া বলেন, ‘মদনের উচিৎপুর ঘাট স্ট্যান্ড থেকে চট্রগ্রামে চলাচল করে আসছিল বাসটি। অবরোধের মধ্যে কেন্দুয়া বাসস্ট্যান্ডে বাসটি পার্কিং অবস্থায় রাখা হয়েছিল। বাসের মধ্যে হেলপার থাকতো। গতরাত সোয়া তিনটার দিকে ফোনে জানতে পারি বাসটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। আগুন দেখে হেলপার বাস থেকে বের হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। ততক্ষণে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে হিরণ এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটি পুড়ে গেছে। আর হিমাচল এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: লুৎফর রহমান লুৎফর রহমান জানান, রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে দুর্বৃত্তরা বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং অবস্থায় থাকা বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পৌনে তিনটার দিকে টহল পুলিশ বাসস্ট্যান্ডে বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র লুৎফর রহমান আরো জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।থানায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জেলা জুড়ে অবরোধের কোন প্রভাব নেই জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা শহরের পারলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রেলও চলছে স্বাভাবিক। তাছাড়া জেলার হাওরাঞ্চল দিয়ে ধনু নদীর নৌপথেও নৌ যান চরছে স্বাভাবিকভাবেই।