মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবিতে ৬৮ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- আপডেট সময় : ০৯:২৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ৬৮ নাগরিক। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি আজ উন্মুখ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে তার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেটি করার দাবী জোরালো হচ্ছে। ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে বলে নিম্নস্বাক্ষরকারীদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত হয় তার জন্য মির্জা ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজনবিদিত। রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি। আমরা আশা করি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে যে ৬৮ নাগরিক সই করেছেন তারা হলেন- লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর (অব) ড. মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ প্রফেসর (অব) ড. আহমেদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর (অব) ড. সাইদুর রহমান, ইমিরেটাস প্রফেসর ড. এটিএম নূরুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর (অব) ড. সদরুল আমীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক প্রফেসর ড. আকমল হোসেন, অধ্যাপক ড. ইউসুফ হায়দার, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. তাজমেরি ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি নাসের বখতিয়ার, সাবেক রাস্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ইউট্যাবের মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজমুস শাহাদাত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার রাজনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শামসুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্সি ভাষা সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কামরুল আহসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. সোমা মমতাজ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিভাগের প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান পান্নু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. ফজলুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. শাহেদ জামান, প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান, প্রানী বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যা স্কুলের প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও ফিজিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মামুন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আকতার হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবদুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. ইয়ারুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবদুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আল আমিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. নসরুল কাদির ।
এ ছাড়া প্রফেসর ড. মো. গোলাম হাফিজ কেনেডি-বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দেবাশিষ পাল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. মতিনুর রহমান- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. মামুন অর রশিদ- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর আনিছুর রহমান- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর তালেবুর রহমান- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. আবুল হাসনাত- মো. শামীম উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর তানভীর আহসান- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম -উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশিদ-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর জাহিদুর রহমান চৌধুরী- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. জহুর হোসেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে।