হামাস–ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। শুক্রবার এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমরা হামাসের জয় চাই’। তবে গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধেরও আহ্বান জানান তিনি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিভিন্ন গোষ্ঠী ও এই লড়াইয়ে নিহত হিজবুল্লাহর ‘শহীদ’ যোদ্ধাদের প্রশংসার মাধ্যমে বক্তৃতা শুরু করেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। এ সময় তিনি নিহত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদেরও স্মরণ করেন।
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, ‘লেবাননে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি। একই সাথে আপনাদের অভিনন্দনও জানাই, কারণ আপনাদের প্রিয়জনেরা শাহাদাতের সম্মান অর্জন করেছেন।’
চলমান ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধ একটি মানবিক, নৈতিক ও ধর্মীয় স্তরের যুদ্ধ বলেই মনে করেন নাসরাল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এর একটি স্পষ্ট, সৎ ও মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। ইরাক ও ইয়েমেনের শক্তিশালী ও সাহসী যোদ্ধারা এ পবিত্র যুদ্ধে জড়িত। এ কারণে তাদের অভিবাদন জানাই।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ভূমিকম্পের সঙ্গে তুলনা করেন নাসরাল্লাহ। নাসরাল্লাহ বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধে হামাস একটি নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির সিদ্ধান্ত সঠিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী।’
নাসরাল্লাহ বলেন, ‘ইসরায়েল আলোচনার মাধ্যমে গাজায় বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে পারে। কিন্তু তারা এখন মূর্খতা ও অক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা গাজার শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। এভাবে তারা কোনো সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। ফিলিস্তিনিবিরোধী যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।’
গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করা উচিত বলে জানান নাসরাল্লাহ। নাসরাল্লাহ বলেন, ‘হিজবুল্লাহ ৮ অক্টোবর ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। হামাসের অভিযানের পরদিন থেকে তারা ইসরায়েলে হামলা শুরু করে।’
আঞ্চলিক সংঘাত কেউ রুখতে চাইলে আগে গাজার এই যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসারুল্লাহ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা বলছে, এই সংঘাতের জন্য আমেরিকার দিকে ইঙ্গিত করলেও হিজবুল্লাহ পরবর্তিতে ঠিক কি করতে চায়, তা জানাননি নাসরাল্লাহ। তিনি বলেন, ‘হিজবুল্লাহ সবকিছুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’