০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের মতো ‘আয়রন ডোম’ বানাবে ভারত

ইসরায়েলের মতো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে ভারত। ২০২৮–২০২৯ সালের মধ্যে দূর পাল্লার এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করবে দেশটি। ভারত সরকার এ প্রকল্পের নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট কুশ’। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রজেক্ট কুশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলেপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (ডিআরডিও)। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম তৈরি হয়ে গেলে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী শত্রুপক্ষের দিক থেকে ধেয়ে আসা দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারবে। আয়রন ডোমের রেঞ্চ হবে ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রজেক্ট কুশের আয়রন ডোম সফলভাবে তৈরি করা গেলে তা রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস–৪০০’ এবং আমেরিকার প্যাট্রিয়টের চেয়েও বেশি কার্যকর হবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রজেক্ট কুশের সঙ্গে সম্প্রতি ভারতের বিমানবাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রজেক্টে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারসেপ্টর মিসাইল থাকবে, যা ১৫০ কিলোমিটার, ২৫০ কিলোমিটার ও ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারবে।

বিশেষজ্ঞরা আরও দাবি করেছেন, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র একে অপরের দিকে ছোড়া হলে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা হবে প্রায় ৯০ শতাংশ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কুশ প্রকল্পটি ২১ হাজার ৭০০ কোটি রুপির তহবিলের অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পটি সরকারি ও বেসরকারি শিল্প খাত মিলে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। ডিআরডিও বলেছে, আত্মনির্ভরশিল ভারত হওয়ার পথে প্রজেক্ট কুশ একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে ইজরায়েলের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ নিয়ে। ইজরায়েলের সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আয়রন ডোম না থাকলে হামাসের অতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছিন্নবিচ্ছন্ন হয়ে যেত তাদের দেশের বহু এলাকা।

ভারত এর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে তিনটি এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে। একই ধরনের আরও দুটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়া থেকে ভারতে আসার পথে রয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্র বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বাকি দুটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ নিয়ে ভারত ও রুশ কর্মকর্তারা শিগগিরই আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।

ইসরায়েলের মতো ‘আয়রন ডোম’ বানাবে ভারত

আপডেট : ০৬:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলের মতো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে ভারত। ২০২৮–২০২৯ সালের মধ্যে দূর পাল্লার এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করবে দেশটি। ভারত সরকার এ প্রকল্পের নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট কুশ’। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রজেক্ট কুশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলেপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (ডিআরডিও)। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম তৈরি হয়ে গেলে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী শত্রুপক্ষের দিক থেকে ধেয়ে আসা দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারবে। আয়রন ডোমের রেঞ্চ হবে ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রজেক্ট কুশের আয়রন ডোম সফলভাবে তৈরি করা গেলে তা রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস–৪০০’ এবং আমেরিকার প্যাট্রিয়টের চেয়েও বেশি কার্যকর হবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রজেক্ট কুশের সঙ্গে সম্প্রতি ভারতের বিমানবাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রজেক্টে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারসেপ্টর মিসাইল থাকবে, যা ১৫০ কিলোমিটার, ২৫০ কিলোমিটার ও ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারবে।

বিশেষজ্ঞরা আরও দাবি করেছেন, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র একে অপরের দিকে ছোড়া হলে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা হবে প্রায় ৯০ শতাংশ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কুশ প্রকল্পটি ২১ হাজার ৭০০ কোটি রুপির তহবিলের অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পটি সরকারি ও বেসরকারি শিল্প খাত মিলে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। ডিআরডিও বলেছে, আত্মনির্ভরশিল ভারত হওয়ার পথে প্রজেক্ট কুশ একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে ইজরায়েলের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ নিয়ে। ইজরায়েলের সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আয়রন ডোম না থাকলে হামাসের অতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছিন্নবিচ্ছন্ন হয়ে যেত তাদের দেশের বহু এলাকা।

ভারত এর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে তিনটি এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে। একই ধরনের আরও দুটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়া থেকে ভারতে আসার পথে রয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্র বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বাকি দুটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ নিয়ে ভারত ও রুশ কর্মকর্তারা শিগগিরই আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।