ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চলতি মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এ মাসের মাঝামাঝিতে বঙ্গোপসাগরে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরমধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অধিদপ্তর বলছে, বর্ষার পর সামুদ্রিক ঝড়ের প্রবণতা বেশি থাকে।

মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে। শেষ সময়ে সারা দেশে বৃষ্টি ঝরেছে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। গত অক্টোবরে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহে ৩৭৮ মিলিমিটার।

গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় হামুন অতিক্রম করার পর থেকে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক। দিনের আলো ছোট হয়ে আসছে। উত্তরে বইছে হিমহিম বাতাস। প্রতিদিনের ভোর থাকছে হালকা কুয়াশায় মোড়া। এরই মাঝে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, নভেম্বরে রাতের তাপমাত্রা কমছে দুই থেকে তিন ডিগ্রি।

আবাহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘দিনের তাপমাত্রাটা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলে কিন্তু তাপমাত্রা একটু বেশিই থাকে, বিশেষ করে কক্সবাজার বা এই অঞ্চলে। এটা কিন্তু ২০ এর কাছাকাছি থাকে শীতের সময়েও। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা কিন্তু অনেক কমে যায়। এখনই কিন্তু ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে এসেছে।’

এর আগে সিডর, বুলবুলসহ বেশ কিছু প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হয়েছে নভেম্বরে। তাই এ মৌসুমেও হতে পারে ঘূর্ণিঝড়।

ওমর ফারুক বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে এর সম্ভাবনা খুব কম। দ্বিতীয়ার্ধে সম্ভাবনা আছে।’

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, নভেম্বরের শেষ থেকে সারা দেশে শীতের আমেজ শুরু হয়ে যেতে পারে। তবে রাজধানীতে হিমেল বাতাস বইতে সময় লাগবে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলতি মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস

আপডেট সময় : ০৬:০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

এ মাসের মাঝামাঝিতে বঙ্গোপসাগরে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরমধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অধিদপ্তর বলছে, বর্ষার পর সামুদ্রিক ঝড়ের প্রবণতা বেশি থাকে।

মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে। শেষ সময়ে সারা দেশে বৃষ্টি ঝরেছে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। গত অক্টোবরে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহে ৩৭৮ মিলিমিটার।

গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় হামুন অতিক্রম করার পর থেকে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক। দিনের আলো ছোট হয়ে আসছে। উত্তরে বইছে হিমহিম বাতাস। প্রতিদিনের ভোর থাকছে হালকা কুয়াশায় মোড়া। এরই মাঝে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, নভেম্বরে রাতের তাপমাত্রা কমছে দুই থেকে তিন ডিগ্রি।

আবাহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘দিনের তাপমাত্রাটা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলে কিন্তু তাপমাত্রা একটু বেশিই থাকে, বিশেষ করে কক্সবাজার বা এই অঞ্চলে। এটা কিন্তু ২০ এর কাছাকাছি থাকে শীতের সময়েও। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা কিন্তু অনেক কমে যায়। এখনই কিন্তু ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে এসেছে।’

এর আগে সিডর, বুলবুলসহ বেশ কিছু প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হয়েছে নভেম্বরে। তাই এ মৌসুমেও হতে পারে ঘূর্ণিঝড়।

ওমর ফারুক বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে এর সম্ভাবনা খুব কম। দ্বিতীয়ার্ধে সম্ভাবনা আছে।’

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, নভেম্বরের শেষ থেকে সারা দেশে শীতের আমেজ শুরু হয়ে যেতে পারে। তবে রাজধানীতে হিমেল বাতাস বইতে সময় লাগবে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।