পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জো বাইডেনের কথিত ভুয়া উপদেষ্টা সম্পর্কে আমেরিকা বলেছে ঐ লোক তাদের কেউ না। আমেরিকা তাদের আইনে হয়তো তার বিচার করবে, দেশের আইনেও তার বিচার হবে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিলেটের আম্বরখানায় ইউনিমার্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি ইউনিমার্ট কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত।
দিনভর সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন ডাকে। এই সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বক্তব্য দেন মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি নামে এক ব্যক্তি। অবশ্য সেই দিন রাতেই এ তথ্য অস্বীকার করে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। এক বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, মার্কিন সরকারের কোনো কর্মকর্তাই বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। বিএনপির পক্ষ থেকেও পরে বলা হয় ওই ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা নয়।
পরে ২৯ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তাকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জো বাইডেনের কথিত ভুয়া উপদেষ্টা সম্পর্কে আমেরিকা বলেছে ওই লোক তাদের কেউ না। আমেরিকা তাদের আইনে হয়তো তার বিচার করবে। আমাদের দেশের আইনেও তার বিচার হবে।’
বিএনপির চলমান হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে এসব কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপির প্রধান টার্গেট এখন পুলিশ।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা বিএনপির এসব আগুন সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করুন। পুলিশ ও সাংবাদিকদের কোনো দল নেই। তারা নিরপেক্ষ। কিন্তু বিএনপির সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপরও হামলা করছে।’
বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।’