রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা ইসির নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জন্য দলগুলোর নেতাদের মধ্যে আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, এককভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কমিশন, এজন্য রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শনিবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন সিইসি। এদিকে, বৈঠকে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে দলটি।

নিবন্ধিত ২৬টি রাজনৈতিক দলের সাথে শনিবার বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ভবনে দুই ধাপে দলগুলোর সাথে বৈঠক করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা। নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেয়নি ১৮টি রাজনৈতিক দল।

শনিবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করে আওয়ামী লীগ, ইসলামি ঐক্যজোট, গণফোরাম, তৃণমূল বিএনপিসহ ১৩টি রাজনৈতিক সংগঠন। আর বিকেলে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা, সাম্যবাদী দলসহ ১৩টি দল।

প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে দুজন করে প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন। তাদেরকে নির্বাচনের সংশোধিত আইন ও বিধিমালা, ভোটকেন্দ্র, ভোটার, পর্যবেক্ষক নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপসহ নির্বাচনের প্রস্তুতি জানায় কমিশন।

ইসির সাথে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয়

তবে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাদের অনেকে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

দুই দফা বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দলগুলোর নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।

বিএনপিসহ সব দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে আবারও আহবান জানিয়েছেন সিইসি। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চান সিইসি।