ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার ব্যাখ্যা চাইল আমেরিকা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়াসহ অ্যাম্বুলেন্সের বহরে ও আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া স্কুলে সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আমেরিকা। পাশাপাশি মার্কিন কর্মকর্তারা বেসামরিক লোকদের ক্ষতি এড়াতে ইসরায়েলকে হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে ‘নির্ভুল হামলা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ইসরায়েলের স্থল বাহিনী গাজার বৃহত্তম শহর ঘেরাও করে রেখেছে। তারা ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলায় ১৪০০ জন নিহতের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে হামাসকে পরাস্ত করার চেষ্টা করছে। ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি একটি শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা হামলা করে, যাতে ১৯৫ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন সরকার।

সর্বশেষ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের একটি হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অ্যাম্বুলেন্স টিমগুলো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপ ও আবর্জনায় পরিণত হওয়া ভবনগুলোতে আহতদের সাহায্য করতে ও মৃতদের সরাতে ছুটে গিয়েছিল।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়ায় হামাসের দুই সশস্ত্র নেতা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, হামলাস্থলে বেসামরিক ভবনের নীচে ও আশপাশে হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অন্যান্য ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ছিল। সংগঠনটি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ইচ্ছাকৃতভাবে বিপন্ন করে।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সরকার ইসরায়েলকে শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করতে বলেছে।
বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেছেন, ‘আমেরিকা জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রথম আক্রমণের ব্যাখ্যা চেয়েছিল।’ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে ইসরায়েলকে আরও চেষ্টার জন্য বলা প্রসঙ্গে এই আলাপ হয়েছিল।

ইসরায়েল এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে। তারা দাবি করেছে, অঞ্চলটি ‘হামাস সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কেন্দ্র’। দেশটি দাবি করে আসছে, তারা গাজায় হামাস যোদ্ধা, অস্ত্রাগার, টানেল কমপ্লেক্স, ড্রোন লঞ্চিং পোস্ট ও কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্যবস্তু করছে।

প্রায় মাসব্যাপী গাজা যুদ্ধ প্রশমিত করার জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ জর্ডানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘মানবিক বিরতি’ কার্যকরে রাজি করাতে ব্লিঙ্কেন গতকাল ইসরায়েল সফর করেন। পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকা মনে করে, এই যুদ্ধবিরতি হামাসের বন্দিদশায় থাকা ২৪০ জিম্মির মুক্তিতে ও গাজার বিপর্যস্ত জনগণের মধ্যে ত্রাণ সাহায্য বিতরণে অনুমতি দিতে সহায়তা করতে পারে।

কিন্তু নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ইসলামী গোষ্ঠিটির সঙ্গে ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ করতে রাজি হবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার ব্যাখ্যা চাইল আমেরিকা

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়াসহ অ্যাম্বুলেন্সের বহরে ও আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া স্কুলে সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আমেরিকা। পাশাপাশি মার্কিন কর্মকর্তারা বেসামরিক লোকদের ক্ষতি এড়াতে ইসরায়েলকে হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে ‘নির্ভুল হামলা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ইসরায়েলের স্থল বাহিনী গাজার বৃহত্তম শহর ঘেরাও করে রেখেছে। তারা ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলায় ১৪০০ জন নিহতের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে হামাসকে পরাস্ত করার চেষ্টা করছে। ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি একটি শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা হামলা করে, যাতে ১৯৫ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন সরকার।

সর্বশেষ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের একটি হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অ্যাম্বুলেন্স টিমগুলো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপ ও আবর্জনায় পরিণত হওয়া ভবনগুলোতে আহতদের সাহায্য করতে ও মৃতদের সরাতে ছুটে গিয়েছিল।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়ায় হামাসের দুই সশস্ত্র নেতা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, হামলাস্থলে বেসামরিক ভবনের নীচে ও আশপাশে হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অন্যান্য ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ছিল। সংগঠনটি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ইচ্ছাকৃতভাবে বিপন্ন করে।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সরকার ইসরায়েলকে শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করতে বলেছে।
বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেছেন, ‘আমেরিকা জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রথম আক্রমণের ব্যাখ্যা চেয়েছিল।’ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে ইসরায়েলকে আরও চেষ্টার জন্য বলা প্রসঙ্গে এই আলাপ হয়েছিল।

ইসরায়েল এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে। তারা দাবি করেছে, অঞ্চলটি ‘হামাস সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কেন্দ্র’। দেশটি দাবি করে আসছে, তারা গাজায় হামাস যোদ্ধা, অস্ত্রাগার, টানেল কমপ্লেক্স, ড্রোন লঞ্চিং পোস্ট ও কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্যবস্তু করছে।

প্রায় মাসব্যাপী গাজা যুদ্ধ প্রশমিত করার জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ জর্ডানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘মানবিক বিরতি’ কার্যকরে রাজি করাতে ব্লিঙ্কেন গতকাল ইসরায়েল সফর করেন। পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকা মনে করে, এই যুদ্ধবিরতি হামাসের বন্দিদশায় থাকা ২৪০ জিম্মির মুক্তিতে ও গাজার বিপর্যস্ত জনগণের মধ্যে ত্রাণ সাহায্য বিতরণে অনুমতি দিতে সহায়তা করতে পারে।

কিন্তু নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ইসলামী গোষ্ঠিটির সঙ্গে ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ করতে রাজি হবেন না।