রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর ফরহাদ মাতুব্বর আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
পল্টন মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন এমরান সালেহ প্রিন্সকে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়।
জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশের কার্যক্রম হঠাৎ ভেঙ্গে গেলে শান্তিনগর মোড় এবং ফকিরাপুল মোড় হয়ে হাজার হাজার লোক ওই স্থান অতিক্রম করার সময় বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে যেতে থাকে। তখন এজাহারনামীয় আসামিরা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা পলাতক ৪০০/৫০০ নেতা কর্মী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আব্দুস সালামদের উস্কানিতে ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় অন্যান্য আসামিরা পল্টন মডেল থানাধীন পুলিশ টেরিকমের পাশে পুলিশ ক্যান্টিনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর এবং তাণ্ডবলীলা চালায়। পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এএসআই এরশাদুল হককে আহত করে তার পিস্তল ছিনিয়ে নেয়।