দ্বিতীয় দফার অবরোধের শুরু হওয়ার আগেই গভীর রাতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেপ্তার চলছেই।
রোববার (৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অন্যদিকে সিনিয়র নেতারাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলিয়ান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।
অবিলম্বে শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন রিজভী।
কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখে নির্বাচন কমিশনের চিঠি ঝুলিয়ে রাখারকে ‘মহাতামাশা’ অভিহিত করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি পাঠানো ছিল আরেকটি তামাশা। আসলে সরকার নিজেদের অতি চালাক ভাবছে এবং সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিরসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।