ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতাকে খুঁজে বের করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গতকাল শনিবার তিনি এ হুমকি দেন বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘আমরা হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুঁজে বের করে হত্যা করব।’
ইয়োভ গ্যালান্ট যখন এমন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ইসরায়েলের সেনারা গাজায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তীব্র যুদ্ধ করছিল। জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, গতকালের লড়াইয়ে ইসরায়েলের অন্তত ৯জন সেনা নিহত হয়েছেন।
ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, যুদ্ধের শেষে গাজায় কোনও হামাস থাকবে না, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি থাকবে না এবং আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে ইসরায়েলের।
এর আগে গত শুক্রবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বক্ততৃায় বলেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমাদের সেনারা পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত পিছপা হব না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, হামাসকে নির্মূল করা, আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং আমাদের নাগরিকদের নিরপত্তা নিশ্চিত করা।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ‘অপ্রতিরোধ্য’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে হামাস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাশাপাশি সশস্ত্র গোষ্ঠিটির যোদ্ধারা গাজা উপত্যকা থেকে বেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন। ওই হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৩৯ জনকে জিম্মি করে হামাস।
এর জেরে ইসরায়েলের চলমান আকাশ ও স্থল অভিযানে গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ২০ লাখেরও বেশি গাজাবাসীর দুর্দশায়; যাদের মধ্যে অনেকেই পানি, খাদ্য বা বিদ্যুৎহীন। মঙ্গলবারও গাজায় একটি জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলায় হামাসের কমান্ডার নিহত হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। আটকাপড়া গাজাবাসীর দুর্দশা লাঘবে প্রতিদিন বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে।