১০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবরোধ?

আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার আবার অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দলগুলো বলছে, অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের (সোমবার) পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে। যদি ভিন্ন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, তাহলে মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। সোমবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক আছে। সেখানে কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকাল আমরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি কী দেওয়া যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

গণতন্ত্র মঞ্চের একটি দলের শীর্ষ এক নেতা বলছেন, মঙ্গলবার কর্মসূচি না রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ সপ্তাহে একদিন মানুষ যাতে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে পারে সেজন্য বিরতি দেওয়া হবে। তবে, বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্সসূচি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।

মঞ্চের সূত্রগুলো বলছে, সোমবার গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানানো হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন নিজেই গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বলেছেন- নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে নেই। যা বিরোধী দলগুলো প্রতিনয়িত বলে আসছে। এর বাইরে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে সংবাদ সম্মেলন থেকে।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। রাজধানীতে আবার বড় ধরনের শো-ডাউন করারও পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার ভাবছে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। বাস্তবে তা এবার হবে না। কারণ প্রথম সারির নেতারা গ্রেপ্তার হলে দ্বিতীয় সারির নেতারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে, সেটা আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। এরপর প্রয়োজনে তৃণমূল থেকে আন্দোলনের নেতৃত্বে দেওয়া হবে। তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

‘কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে এরইমধ্যে সিনিয়র নেতাদের বাইরে তৃণমূলের অনেক নেতা কারাগারে গিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে কতদিন আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া যাবে, সেটা নিয়ে একটা সন্দেহ তো থাকেই’, বলেন বিএনপির ওই নেতা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবরোধ?

আপডেট : ০৪:৩১:০০ অপরাহ্ন, রোববার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার আবার অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দলগুলো বলছে, অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের (সোমবার) পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে। যদি ভিন্ন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, তাহলে মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। সোমবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক আছে। সেখানে কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকাল আমরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি কী দেওয়া যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

গণতন্ত্র মঞ্চের একটি দলের শীর্ষ এক নেতা বলছেন, মঙ্গলবার কর্মসূচি না রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ সপ্তাহে একদিন মানুষ যাতে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে পারে সেজন্য বিরতি দেওয়া হবে। তবে, বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্সসূচি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।

মঞ্চের সূত্রগুলো বলছে, সোমবার গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানানো হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন নিজেই গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বলেছেন- নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে নেই। যা বিরোধী দলগুলো প্রতিনয়িত বলে আসছে। এর বাইরে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে সংবাদ সম্মেলন থেকে।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। রাজধানীতে আবার বড় ধরনের শো-ডাউন করারও পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার ভাবছে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। বাস্তবে তা এবার হবে না। কারণ প্রথম সারির নেতারা গ্রেপ্তার হলে দ্বিতীয় সারির নেতারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে, সেটা আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। এরপর প্রয়োজনে তৃণমূল থেকে আন্দোলনের নেতৃত্বে দেওয়া হবে। তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

‘কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে এরইমধ্যে সিনিয়র নেতাদের বাইরে তৃণমূলের অনেক নেতা কারাগারে গিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে কতদিন আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া যাবে, সেটা নিয়ে একটা সন্দেহ তো থাকেই’, বলেন বিএনপির ওই নেতা।