ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে অবরোধ সফল করে এক দফার আন্দোলনকে বেগবান করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান জোটের শীর্ষ নেতারা।

আজ রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে বিএমএ ভবনের সামনে মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

জোটের নেতারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। গণবিচ্ছিন্ন সরকার শেষ অবলম্বন রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদলকে জেলে ভরে সারা দেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০১৪ সালের মতো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।’

নেতারা বলেন, ‘২০১৪ আর ২০২৪ এক নয়। নিরস্ত্র বিরোধী দলকে রাজপথে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে সাময়িকভাবে বিজয়ী হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও এই উচ্ছ্বাস অচিরেই ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। জাতিসংঘ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব আরেকটা হিটলার, সাদ্দাম ও গাদ্দাফীর উত্থানকে মেনে নেবে না।’

বক্তারা বলেন, ‘২৮ অক্টোবর সরকারের হাতে আরেকবার গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।’

সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে মুক্তি দিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘গণতন্ত্রের লেবাছ পরে যুদ্ধতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী সরকার দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করছে, প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এর পরিণতি তাদের জন্য ভয়াবহ ভবিষ্যৎ ডেকে আনবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে ভুল করলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আমরা সরকারের ভয়াবহ দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও বি শ্ববিবেককে জাগ্রত ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নোয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব ইসমাইল রেজা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন, আবু হানিফ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, হান্নান আহমেদ খান বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, দুনিয়াতে উলামা ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ ও ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : ১২ দলীয় জোট

আপডেট সময় : ১০:৪২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে অবরোধ সফল করে এক দফার আন্দোলনকে বেগবান করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান জোটের শীর্ষ নেতারা।

আজ রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে বিএমএ ভবনের সামনে মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

জোটের নেতারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। গণবিচ্ছিন্ন সরকার শেষ অবলম্বন রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদলকে জেলে ভরে সারা দেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০১৪ সালের মতো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।’

নেতারা বলেন, ‘২০১৪ আর ২০২৪ এক নয়। নিরস্ত্র বিরোধী দলকে রাজপথে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে সাময়িকভাবে বিজয়ী হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও এই উচ্ছ্বাস অচিরেই ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। জাতিসংঘ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব আরেকটা হিটলার, সাদ্দাম ও গাদ্দাফীর উত্থানকে মেনে নেবে না।’

বক্তারা বলেন, ‘২৮ অক্টোবর সরকারের হাতে আরেকবার গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।’

সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে মুক্তি দিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘গণতন্ত্রের লেবাছ পরে যুদ্ধতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী সরকার দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করছে, প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এর পরিণতি তাদের জন্য ভয়াবহ ভবিষ্যৎ ডেকে আনবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে ভুল করলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আমরা সরকারের ভয়াবহ দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও বি শ্ববিবেককে জাগ্রত ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নোয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব ইসমাইল রেজা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন, আবু হানিফ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, হান্নান আহমেদ খান বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, দুনিয়াতে উলামা ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ ও ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ।