ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এ জন্য কী পঞ্চাশ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি : শামসুজ্জামান দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির মহাসমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই আদেশ দেন। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিএনপিনেতা দুদুকে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডের এই আদশ দেন।

রিমান্ড শুনানির সময় দুদু আদালতে বলেন, আমি ছাত্রদল ও কৃষকের সভাপতি ছিলাম। এখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। রিমান্ড বাদেও মামলার তদন্ত হয়। প্রতি মাসে বিভিন্ন মামলায় ১০/১৫ দিন আদালতে হাজিরা দিতে আসি। আমার পরিবারে নয় জন আইনজীবী। আমার জন্য লজ্জাজনক যে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো মামলায় আমাকে আসামি করা হলো। আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি এর মতো লজ্জার ঘটনা জীবনে নেই। শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, আমরা আইনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছি। দুর্ভাগ্যজনক যে, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের মঞ্চে আমরা যারা ছিলাম, সেখানে কোনো ভাইস চেয়ারম্যান বক্তব্য দেননি। যেটা সত্য না, সেটা কেন অন্যের ঘাড়ে চাপাতে হবে। এর জন্য কি পঞ্চাশ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করছি। এরপরে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় বোনের বাসা থেকে দুদুকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জন্য কী পঞ্চাশ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি : শামসুজ্জামান দুদু

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির মহাসমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই আদেশ দেন। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিএনপিনেতা দুদুকে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডের এই আদশ দেন।

রিমান্ড শুনানির সময় দুদু আদালতে বলেন, আমি ছাত্রদল ও কৃষকের সভাপতি ছিলাম। এখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। রিমান্ড বাদেও মামলার তদন্ত হয়। প্রতি মাসে বিভিন্ন মামলায় ১০/১৫ দিন আদালতে হাজিরা দিতে আসি। আমার পরিবারে নয় জন আইনজীবী। আমার জন্য লজ্জাজনক যে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো মামলায় আমাকে আসামি করা হলো। আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি এর মতো লজ্জার ঘটনা জীবনে নেই। শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, আমরা আইনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছি। দুর্ভাগ্যজনক যে, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের মঞ্চে আমরা যারা ছিলাম, সেখানে কোনো ভাইস চেয়ারম্যান বক্তব্য দেননি। যেটা সত্য না, সেটা কেন অন্যের ঘাড়ে চাপাতে হবে। এর জন্য কি পঞ্চাশ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করছি। এরপরে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় বোনের বাসা থেকে দুদুকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।