সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের শেষ দিনে সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, "প্রতিদিন শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাজনীতির মাঠ থেকে ভিন্নমত শূন্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। তারা ১৪ ও ১৮ সালে জনগণের সাথে প্রতারণা করে, পুলিশ- প্রশাসনকে ব্যবহার করে, পেশিশক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। আবারও ষড়যন্ত্র করে জনগণের ভোটাধিকার হরন করে ক্ষমতায় আসতে চায়। একারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৮০০০ বিএনপির নেতাকর্মীকে গত এক সপ্তাহে জেলে ঢুকিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে গতকাল বিরোধীদলের ৮০০০ নেতাকর্মীকে জেলে ভরার নিন্দা জানানো হয়েছে। এই সরকারের গুম খুন ও ভোটচুরির বিরুদ্ধে আমেরিকা ইউরোপ জাতিসংঘ সবাই নিন্দা জানাচ্ছে। কিন্তু সরকার কাউকে তোয়াক্কা করছেনা।
তাদের ( বিদেশিদের) দাবির সাথে বাংলাদেশের জনগণের দাবির কোন তফাৎ নেই। কিন্তু সরকার একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান থাকবে আপনারা রাজপথে নেমে এসে চলমান আন্দোলনকে সফল করেন। আন্দোলনের মাধ্যমে সবকিছু ফয়সাল হবে। আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি, এই সংগ্রামে প্রতিটি কর্মীকে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। একজন আটক হলে আরেকজন নেতৃত্ব নিন, নেতৃত্ব দিন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন,শেখ হাসিনা সরকার পুরো দেশকে আজ কারাগারে পরিণত করেছে। বিএনপি সহ বিরোধী দলের ৮ হাজার নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে।
গতরাতে রংপুর একজন চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা। এই কারাগার থেকে আজ বাংলার জনগণ মুক্তি চায়, যার প্রমাণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন। ইনশাআল্লাহ অচিরেই আওয়ামীলীগের পতন হবে গনতন্ত্রের বিজয় হবে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ,শাকিল উজ্জামান,শহিদুল ইসলাম ফাহিম,ফাতেমা তাসনিম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান,প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা সহ সম্পাদক হেলেনা আক্তার, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম,দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন,সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান,সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সসভাপতি সাব্বির হোসেন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদ সহ নেতাকর্মীরা।