পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান। এসময় জানানো হয়, শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারির পর ডিসেম্বরেই কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত। জানুয়ারিতে শ্রমিকরা নতুন বেতন পাবেন বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সচিবালয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার পর সংবাদ সম্মেলন করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বিজিএমইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় তিনি আরও বলেন, মালিক, শ্রমিক ও শিল্পের স্বার্থে এটা করা হয়েছে। শ্রমিকদের কাজে যোগ দেবার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। মালিকদের সহনশীল হতে বলেছেন তিনি। এছাড়া শ্রমিকদের কারো উস্কানিতে কান না দেবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে মজুরির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হবে। শ্রমিকদের মজুরি কাঠামোতে পাঁচটি গ্রেড থাকবে। মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে ৬৩ শতাংশ। তার মানে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে সাত হাজার ৮৭৫ টাকা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে। আর জানুয়ারির শুরুতে নতুন কাঠামো অনুযায়ী মজুরি পাবেন শ্রমিকেরা।
মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া বোর্ডের সভায় অংশ নেন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি মকসুদ বেলাল সিদ্দিকী, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি সুলতান আহম্মদ এবং নিরপেক্ষ প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন।
২০১৩ সালে পোশাক খাতের নিম্নতম মজুরি ৭৬ শতাংশ বাড়িয়ে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করেছিল নিম্নতম মজুরি বোর্ড। এরপর ২০১৮ সালে নিম্নতম মজুরি তার চেয়ে প্রায় ৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়। তখন ন্যূনতম মজুরি দাঁড়ায় আট হাজার টাকা
মালিকপক্ষ সব সময় সহনশীল তাদের - সিদ্দিকুর সাবেক সভাপতি বিজিএমইএ।