১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় চাকরি হারাচ্ছে ৬১ শতাংশ ফিলিস্তিনি- আইএলও

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(আইএলও) বলছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধে গাজায় প্রায় ৬১ শতাংশ ফিলিস্তিনি তাদের চাকরি হারাচ্ছে। সংগঠনটি সতর্ক করে বলছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি আরও অনেক দিন ভুগবে। খবর আল-জাজিরা

আইএলওর মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত বলেন, এই যুদ্ধ যদি বন্ধ করা না যায় তবে ফিলিস্তিনের শ্রমবাজারের বর্তমান সঙ্কট খুবই মর্মান্তিক আকার ধারন করবে। তিনি আরও বলেন আমাদের সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গাজার প্রায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ তাদের কাজ হারাবে।

আইএলও আরও বলছে, পশ্চিম তীরেও চাকরি হারিয়েছে প্রায় দুই লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি, যা তাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৪ শতাংশ। এদিকে জাতিসংঘের তথ্য মতে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিমতীরের মানুষদের চাকরি হারানোর ফলে, ফিলিস্তিনের প্রায় ১৬ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতি হবে পোহাতে হবে।

উল্লেখ্য এই যুদ্ধ শুরুর আগ থেকেই গাজায় অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজাকে অবরুদ্ধ করার পর থেকেই গাজার এই অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, এমনিতেই গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। তার মধ্যে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও সঙ্কটাপন্ন করে তুলবে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে প্রকট খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সেবা সঙ্কটে ভুগছে গাজাবাসিরা। এদিকে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় দশ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গাজায় চাকরি হারাচ্ছে ৬১ শতাংশ ফিলিস্তিনি- আইএলও

আপডেট : ০৫:৩৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(আইএলও) বলছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধে গাজায় প্রায় ৬১ শতাংশ ফিলিস্তিনি তাদের চাকরি হারাচ্ছে। সংগঠনটি সতর্ক করে বলছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি আরও অনেক দিন ভুগবে। খবর আল-জাজিরা

আইএলওর মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত বলেন, এই যুদ্ধ যদি বন্ধ করা না যায় তবে ফিলিস্তিনের শ্রমবাজারের বর্তমান সঙ্কট খুবই মর্মান্তিক আকার ধারন করবে। তিনি আরও বলেন আমাদের সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গাজার প্রায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ তাদের কাজ হারাবে।

আইএলও আরও বলছে, পশ্চিম তীরেও চাকরি হারিয়েছে প্রায় দুই লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি, যা তাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৪ শতাংশ। এদিকে জাতিসংঘের তথ্য মতে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিমতীরের মানুষদের চাকরি হারানোর ফলে, ফিলিস্তিনের প্রায় ১৬ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতি হবে পোহাতে হবে।

উল্লেখ্য এই যুদ্ধ শুরুর আগ থেকেই গাজায় অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজাকে অবরুদ্ধ করার পর থেকেই গাজার এই অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, এমনিতেই গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। তার মধ্যে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও সঙ্কটাপন্ন করে তুলবে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে প্রকট খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সেবা সঙ্কটে ভুগছে গাজাবাসিরা। এদিকে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় দশ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।