১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ১ঘন্টার যুদ্ধ বন্ধ রাখার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং হামাসের কাছে জিম্মি থাকাদের মুক্তির জন্য গাজায় কৌশলগতভাবে সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন টেলিভিশন এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, যুদ্ধের পর গাজা কে শাসন করবে, এতে তিনি বলেন, “আমি মনে করি ইসরায়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে, কারণ আমরা দেখেছি নিরাপত্তাহীনতার জন্য আমাদের অবস্থা কী হয়েছে।” খবর রয়টার্সের

তবে হামাসের কাছে জিম্মি থাকা সবাইকে মুক্তি না দেওয়া হলে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যাবে না ইসরায়েল বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর হামাসকে নির্মূলে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।

গত মাসে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১৪০০ মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করা হয় ২৫০ জনকে।

এদিকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালানোর পর আন্তর্জাতিক সম্পদ্রায় উভয়পক্ষকে যুদ্ধ বিরতের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে ইসরায়েল বলছে হামাসের কাছে জিম্মি থাকাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যদিকে হামাস বলছে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধ বিরতিতে যাচ্ছি না, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। গাজায় শুধু মানবিক সহায়তা এবং মানুষের চলাচলের জন্য কিছু সময় যুদ্ধ বন্ধ রাখা হবে। এটা হতে পারে এক ঘণ্টা।

সেই সঙ্গে ইরান এবং হিজবুল্লাহকে এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার সতর্কবার্তা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব—তারা বুঝবে যে এই যুদ্ধে যদি তারা জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আমরা খুব, খুবই শক্তভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং আমার মনে হয় না তারা সেই ভুল করবে।’

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েরের এই অবস্থানকে সমর্থনও করেছে। তবে রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল এবং জাতিসংঘ শুরু থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

গাজায় ১ঘন্টার যুদ্ধ বন্ধ রাখার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

আপডেট : ০৬:৪১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং হামাসের কাছে জিম্মি থাকাদের মুক্তির জন্য গাজায় কৌশলগতভাবে সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন টেলিভিশন এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, যুদ্ধের পর গাজা কে শাসন করবে, এতে তিনি বলেন, “আমি মনে করি ইসরায়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে, কারণ আমরা দেখেছি নিরাপত্তাহীনতার জন্য আমাদের অবস্থা কী হয়েছে।” খবর রয়টার্সের

তবে হামাসের কাছে জিম্মি থাকা সবাইকে মুক্তি না দেওয়া হলে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যাবে না ইসরায়েল বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর হামাসকে নির্মূলে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।

গত মাসে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১৪০০ মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করা হয় ২৫০ জনকে।

এদিকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালানোর পর আন্তর্জাতিক সম্পদ্রায় উভয়পক্ষকে যুদ্ধ বিরতের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে ইসরায়েল বলছে হামাসের কাছে জিম্মি থাকাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যদিকে হামাস বলছে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধ বিরতিতে যাচ্ছি না, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। গাজায় শুধু মানবিক সহায়তা এবং মানুষের চলাচলের জন্য কিছু সময় যুদ্ধ বন্ধ রাখা হবে। এটা হতে পারে এক ঘণ্টা।

সেই সঙ্গে ইরান এবং হিজবুল্লাহকে এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার সতর্কবার্তা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব—তারা বুঝবে যে এই যুদ্ধে যদি তারা জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আমরা খুব, খুবই শক্তভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং আমার মনে হয় না তারা সেই ভুল করবে।’

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েরের এই অবস্থানকে সমর্থনও করেছে। তবে রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল এবং জাতিসংঘ শুরু থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে।