গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলি, নিহত ১
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার পরও গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
নিহত নারীর নাম আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩০)। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চর নাটিপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের স্ত্রী। কোনাবাড়ীর ইসলাম গার্মেন্টসে সেলাই মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। একই সময় জামাল উদ্দিন নামে আরও একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ জামাল উদ্দিন বলেন, আমি ইসলাম গার্মেন্টসে চাকরি করি। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আমি গুলিবিদ্ধ হই। পরে প্রথমে উদ্ধার করে আমাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজন ঢাকা মেডিকেলে এসেছিল। এদের মধ্যে ইসলাম গার্মেন্টসের আনজুয়ারা বেগম নামে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ জামাল উদ্দিনের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টায় ইসলাম গার্মেন্টস ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট, টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের কারখানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কোনাবাড়ী কাশিমপুর সড়কের বেশ কয়েক স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের বুলেটে অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতদের কোনাবাড়ী শরীফ মেডিকেল ও পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক নারীকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে সকালে সমস্যা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গাজীপুরে ২২ প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান আগামী ৫ বছরের জন্য তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা এটা ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে। আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে।