বিএনপির ডাকা অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্তত ৩২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এছাড়া যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে আরও অন্তত ২৫ কোটি টাকা। পণ্য পরিবহনের বাড়তি খরচ ও কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি বলে জানান তারা। আর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের শঙ্কা, এ অবস্থা চললে পণ্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি।
২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতা ও হামলায় ঘটনায় পরদিন হরতাল পালন করে দলটি। আর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর টানা তিনদিন ডাকা হয় অবরোধ। দুইদিনের বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর আবারও টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি যশোদা জীবন নাথ বলেন, ‘অবরোধের কারণে কাঁচাপণ্যসহ অনেক পণ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ করা যায়নি। আটকা পড়ে রপ্তানি পণ্যও। এজন্য দিনে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়।’
কাঁচামাল পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় পোশাক শিল্পের ক্ষতির কথাও তুলে ধরনের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘অবরোধে সারাদেশে প্রায় ৭২টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়, ভাঙচুর হয় আরও ২০০টি। সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।’
নেতারা বলছেন, ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণসহ ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে যানবাহন মালিকদের। পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে দেশে প্রতিদিন সাড়ে চার লাখ বাস-ট্রাক চলাচল করছে বলেও জানান তারা।