সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে গম আর ভারত থেকে সয়াবিন তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুবাই থেকে আমদানি হবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আর ভারত থেকে কেনা হবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানি থেকে কেনা হবে এলএনজি ও কাতার থেকে ইউরিয়া সার।
এগুলো ছাড়াও ক্রয় কমিটির সভায় ২৮টি প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
পরে সভাশেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটিতে ২টি এবং ক্রয় কমিটিতে ২৮টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ব্যয় করবে ৮ হাজার ৩১৮ কোটি। আর ব্যাংক ও বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৫৩৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য দুবাই থেকে কেনা হবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি থেকে এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৭১৩ কোটি টাকা। আর টিসিবির জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়।
টিসিবির জন্য ভারত থেকে ১০ হাজার টন ডাল ও দেশীয় কোম্পানি থেকে ১৫ হাজার টন গম কিনতে ব্যয় হবে ২৪৬ কোটি টাকা। এছাড়া দুবাই থেকে ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১১তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স।
তিনি আরও বলেন, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ২য় ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে দোহওয়া, কোরিয়াসহ মোট ৫টি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ৪৬ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৫২ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মোংলা থেকে রামপাল খেয়াঘাট পর্যন্ত নদীর ড্রেজিং, গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধুনিকায়নের জন্যও প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।