বিএনপিতে আছি, বিএনপিতেই থাকব : মেজর হাফিজ
- আপডেট সময় : ০৭:৪১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি থেকে পদত্যাগ এবং নতুন দল গঠন করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে আছি, বিএনপিতেই থাকব। আর শিগগিরই বিএনপিতে থেকেই রাজনীতি থেকে অবসর নেব।’ বুধবার (৮ নভেম্বর) বনানীতে নিজ বাসায় বিএনপিতে থাকা না থাকা এবং আগামী নির্বাচন ভাবনা নিয়ে নিজের বক্তব্য গণমাধ্যমে তুলে ধরেন তিনি।
দলের সংস্কার চেয়ে তিনি বলেন, দলের সংস্কার করুন। এখন যেভাবে চলছে এভাবে একটা রাজনৈতিক দল চলে না। আমি শারীরিক কারণে শিগগির রাজনীতি থেকে অবসর নিব। ৩১ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। এই দলেই থাকার চেষ্টা করবো। এই দলের সদস্য হিসেবেই রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চাই।
তিনি বেগম জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তার রোগ মুক্তি কামনা করেন। বিএনপির সকল ত্যাগি নেতার প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, তারা রাজপথে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। সস্ত্র প্রতিরোধের মুখে নিরস্ত্র বাহিনী কতটুকু করতে পারে? তবুও তাদের অনেকে জীবন দিয়ে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, দেশের শান্তি চাই। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে আহত হয়েছি। যশোর ক্যান্টনমেন্টে আমি একমাত্র বিদ্রোহী অফিসার ছিলাম। এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের নায়করা প্রদীপের পেছনে চলে গেছে। তাদেরকে দেশের লোক জানতে পারেনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। সেখানে গ্রামেগঞ্জে নাম না জানা সৈনিকেরা জীবন দিয়ে এই দেশকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। সুতরাং এই দেশ জ্বালাও পোড়াও দিয়ে শেষ হয়ে যেতে পারে না।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা খারাপ হয়ে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সামাল দিতে পারবো কিনা জানি না। এই দেশের অবস্থা যদি আরও খারাপ হয়, এজন্য প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই দায়ী থাকবে। আমাকেও দায়ভার নিতে হবে, যেহেতু সরকারের মন্ত্রী ছিলাম। চেষ্টা করেছি, কোনো দুর্নীতিতে জড়ায়নি। আমার বিরোদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো সামনে আমাদের কঠিন দিন। বৈদেশিক রিজার্ভ ধীরে ধীরে তলানিতে যাচ্ছে। যারা এই বেগম পাড়া বানিয়েছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছে, অধিকাংশ আওয়ামী লীগের বা অন্যান্য ক্ষমতাসীন দলের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমলাদের সংখ্যায় নাকি বেশি বেগম পাড়ায়। অন্তত তাদের অর্থকড়ি ফিরিয়ে আনেন। চিঠি দিলে বিদেশি সরকাররা এ অর্থ ফেরত পাঠাবে। সুইচ ব্যাংকে কে কে টাকা রেখেছে বাংলাদেশ সরকার তো কোনোদিন জানতেও চায় নাই। দেখা যাবে প্রধান প্রধান রাজনৈতিকদলের নেতারা সেখানে টাকা জমা রেখেছে।