ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান গণঅধিকার পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘২৮ অক্টোবর আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ গুলি করে আমার ভাইদের রক্তাক্ত করেছে। পুলিশ টিয়াার সেল, রাবার বুলেট মেরে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে আহত করেছে, গ্রেফতার করছে।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বলতে চাই, নিজেদের ভাগ্যের করুন পরিণতি ডেকে আনবেন না, আপনাদের পাশে কেউ নেই। দেশের জনগণ আপনাদের পাশে নেই, বিদেশিরাও আপনাদের পাশে নেই। আপনাদের চাপাবাজি, ফাঁপড়বাজি বেশিদিন টিকবে না। ভালো চাইলে আপনারা সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। অন্যথায় পৃথিবীর বিভিন্ন স্বৈরশাসকদের মত আপনাদেরও করুণ পরিণতি হবে।

পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বলবো আপনারা দেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কারণ র‍্যাব গুম খুনের সাথে জড়িত। আজকে গুটিকয়েক পুলিশ কর্মকর্তার জন্য দয়া করে আড়াই লক্ষ পুলিশকে কলঙ্কিত করবেন না, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেলবেন না। ২৮ তারিখ তান্ডবের পেছনে ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তার নাম এসেছে। জনগণকে বলবো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে, চলবে।

তফসিলের আগ পর্যন্ত আমরা সরকারের মতিগতি দেখবো। যদি তারা একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটে তফসিলের পর থেকে আরো কঠোর আন্দোলন আসবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগের এজেন্টরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপর হামলা করে বিরোধীদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে। যাতে করে পুরো পুলিশ-প্রশাসন ও সাংবাদিক কমিউনিটি বিরোধীদল সমূহের বিরুদ্ধে যায়। আমরা পুলিশ- প্রশাসনের বিরুদ্ধে না, তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। পুলিশের ভাইদের বলবো, কারও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার অংশীদার না হয়ে, জনগণের পাশে থাকুন। বাংলাদেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে। গণঅধিকার পরিষদ হামলা-মামলা উপেক্ষা করে প্রতিটা আন্দোলনে রাজপথে আছে। যদি রক্ত দিতে হয়, জীবন দিতে হয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য গণঅধিকার পরিষদ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছে।

রাশেদ খান অভিযোগ করেন বলেন, ‘সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে বিরোধীদলের নেতাদের গ্রেফতার করছে। অনতিবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাক হাসান আল মামুন, আনিসুর রহমান মুন্না, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা সহ সম্পাদক হেলেনা আক্তার, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন, নাহিদ তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদ সহ নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান গণঅধিকার পরিষদের

আপডেট সময় : ০১:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘২৮ অক্টোবর আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ গুলি করে আমার ভাইদের রক্তাক্ত করেছে। পুলিশ টিয়াার সেল, রাবার বুলেট মেরে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে আহত করেছে, গ্রেফতার করছে।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বলতে চাই, নিজেদের ভাগ্যের করুন পরিণতি ডেকে আনবেন না, আপনাদের পাশে কেউ নেই। দেশের জনগণ আপনাদের পাশে নেই, বিদেশিরাও আপনাদের পাশে নেই। আপনাদের চাপাবাজি, ফাঁপড়বাজি বেশিদিন টিকবে না। ভালো চাইলে আপনারা সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। অন্যথায় পৃথিবীর বিভিন্ন স্বৈরশাসকদের মত আপনাদেরও করুণ পরিণতি হবে।

পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বলবো আপনারা দেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কারণ র‍্যাব গুম খুনের সাথে জড়িত। আজকে গুটিকয়েক পুলিশ কর্মকর্তার জন্য দয়া করে আড়াই লক্ষ পুলিশকে কলঙ্কিত করবেন না, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেলবেন না। ২৮ তারিখ তান্ডবের পেছনে ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তার নাম এসেছে। জনগণকে বলবো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে, চলবে।

তফসিলের আগ পর্যন্ত আমরা সরকারের মতিগতি দেখবো। যদি তারা একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটে তফসিলের পর থেকে আরো কঠোর আন্দোলন আসবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগের এজেন্টরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপর হামলা করে বিরোধীদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে। যাতে করে পুরো পুলিশ-প্রশাসন ও সাংবাদিক কমিউনিটি বিরোধীদল সমূহের বিরুদ্ধে যায়। আমরা পুলিশ- প্রশাসনের বিরুদ্ধে না, তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। পুলিশের ভাইদের বলবো, কারও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার অংশীদার না হয়ে, জনগণের পাশে থাকুন। বাংলাদেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে। গণঅধিকার পরিষদ হামলা-মামলা উপেক্ষা করে প্রতিটা আন্দোলনে রাজপথে আছে। যদি রক্ত দিতে হয়, জীবন দিতে হয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য গণঅধিকার পরিষদ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছে।

রাশেদ খান অভিযোগ করেন বলেন, ‘সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে বিরোধীদলের নেতাদের গ্রেফতার করছে। অনতিবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাক হাসান আল মামুন, আনিসুর রহমান মুন্না, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা সহ সম্পাদক হেলেনা আক্তার, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন, নাহিদ তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদ সহ নেতাকর্মীরা।