০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাসের সুরঙ্গ খুঁজেছে ইসরায়েলি সেনারা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির ভেতরে ঢুকে পড়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য, হামাস যোদ্ধাদের বিশাল সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে হামলা করা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলের কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পস গাজার ভূগর্ভে কয়েক শ কিলোমিটার বিস্তৃত হামাসে সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাস যোদ্ধাদের অবকাঠামো, বাঙ্কার, যোগাযোগব্যস্থা ধ্বংস করাই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে হামাসের দুটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছ, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকিয়ে দিতে ট্যাংকগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করারও দাবি করেছে হামাস।

হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গাজি হামাদ কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, তারা (ইসরায়েল) বেসামরিক লোকদের হত্যা করা ছাড়া কোনো সামরিক সাফল্য অর্জন করতে পারবে না। গাজা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে এবং আমেরিকা ও ইহুদিদে গলার কাঁটা হয়েই থাকবে।’

এদিকে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষেরাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হামাসের সুরঙ্গে হামলা করলে জিম্মিরা আরও বিপদে পড়বে। কারণ হামাস তাদের জিম্মিদের সুরঙ্গের ভেতরেই রেখেছে।

ইসরায়েল সরকার বলেছে, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না। অন্যদিকে হামাস বলছে, গাজায় হামলার সময় তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৩১ দিনের যুদ্ধে গাজায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিন্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু নিহত হয়েছে ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি। অন্যদিকে ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া হামাসের কাছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ জিম্মি রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েল।

হামাসের সুরঙ্গ খুঁজেছে ইসরায়েলি সেনারা

আপডেট : ০৭:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির ভেতরে ঢুকে পড়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য, হামাস যোদ্ধাদের বিশাল সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে হামলা করা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলের কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পস গাজার ভূগর্ভে কয়েক শ কিলোমিটার বিস্তৃত হামাসে সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাস যোদ্ধাদের অবকাঠামো, বাঙ্কার, যোগাযোগব্যস্থা ধ্বংস করাই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে হামাসের দুটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছ, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকিয়ে দিতে ট্যাংকগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করারও দাবি করেছে হামাস।

হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গাজি হামাদ কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, তারা (ইসরায়েল) বেসামরিক লোকদের হত্যা করা ছাড়া কোনো সামরিক সাফল্য অর্জন করতে পারবে না। গাজা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে এবং আমেরিকা ও ইহুদিদে গলার কাঁটা হয়েই থাকবে।’

এদিকে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষেরাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হামাসের সুরঙ্গে হামলা করলে জিম্মিরা আরও বিপদে পড়বে। কারণ হামাস তাদের জিম্মিদের সুরঙ্গের ভেতরেই রেখেছে।

ইসরায়েল সরকার বলেছে, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না। অন্যদিকে হামাস বলছে, গাজায় হামলার সময় তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৩১ দিনের যুদ্ধে গাজায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিন্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু নিহত হয়েছে ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি। অন্যদিকে ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া হামাসের কাছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ জিম্মি রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েল।