ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজীপুর ও আশুলিয়ায় ফের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুর ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আজও বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সাভারের চান্দনা চৌরাস্তা, রওশন সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করে। আশুলিয়ায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে কারখানায় ঢুকে কর্মবিরতি পালন করে। এরপরই একে একে বিভিন্ন কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। কারখানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয় বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক নিয়মেই শ্রমিকরা সকালে কারখানায় প্রবেশ করেন। সাড়ে ৮টার দিকে দুই থেকে তিনটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ করে কারখানা ত্যাগ করেন। পরে একের পর এক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সড়কে র‍্যাব, ঢাকা জেলা পুলিশ ও বিজিবির পর্যাপ্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য এক শ্রমিককে বলতে শোনা যায়, আপনারাও গুলি করবেন না, আমরাও কোনো বিশৃঙ্খলা করব না, আমরা সবাই বাসায় যাচ্ছি।

এদিকে সড়কে মোটরসাইকেল মোহড়া দিতে দেখা গেছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম ও নেতাকর্মীদের। পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‍্যাব, ঢাকা জেলা পুলিশ ও বিজিবির বিপুল সংখ্যক সদস্য। কিছুক্ষণ পরপরই টহল দিতে দেখা গেছে বিজিবির একাধিক সাজোয়া যানের। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শ্রমিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেনি। পরিস্থিতি সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-০১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সকালে ৫/৬ টি কারখানার শ্রমিকরা বের হয়েছে। এরপর সড়কের পাশের কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এর পর নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় লিবাস নিটওয়্যার, হাসান তানভীর ফ্যাশনসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহীম হোসেন বলেন, শ্রমিকরা জড়ো হয়ে আন্দোলন করতে চাইলে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

শ্রমিক অবরোধের কারণে সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় আন্দোলনের মুখে বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে এক নারী শ্রমিক নিহতের পর কোনাবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এরপরই নাওজোর এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ভাঙচুর করে এবং সড়কে কাঠ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে নাওজোড় এলাকায় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছিল। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। আমরা কোনো অ্যাকশনে যেতে চাচ্ছি না শ্রমিকরাও চাচ্ছে না। আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গাড়িতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার সকালে একদফা আন্দোলনের পর ফের দুপুরে আমবাগ এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাওজোড় এলাকায় বিক্ষোভে নামেন শত শত শ্রমিক। এ সময় তাঁরা ইসলামপুর এলাকায় নর্প নিটওয়্যার্স নামের একটি কারখানায় ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তেজিত শ্রমিকেরা ঢিল ছুড়ে বেশ কিছু গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে।

পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করলে শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। শ্রমিকদের সরে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এ প্রসঙ্গে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আট জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুর ও আশুলিয়ায় ফের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

গাজীপুর ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আজও বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সাভারের চান্দনা চৌরাস্তা, রওশন সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করে। আশুলিয়ায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে কারখানায় ঢুকে কর্মবিরতি পালন করে। এরপরই একে একে বিভিন্ন কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। কারখানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয় বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক নিয়মেই শ্রমিকরা সকালে কারখানায় প্রবেশ করেন। সাড়ে ৮টার দিকে দুই থেকে তিনটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ করে কারখানা ত্যাগ করেন। পরে একের পর এক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সড়কে র‍্যাব, ঢাকা জেলা পুলিশ ও বিজিবির পর্যাপ্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য এক শ্রমিককে বলতে শোনা যায়, আপনারাও গুলি করবেন না, আমরাও কোনো বিশৃঙ্খলা করব না, আমরা সবাই বাসায় যাচ্ছি।

এদিকে সড়কে মোটরসাইকেল মোহড়া দিতে দেখা গেছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম ও নেতাকর্মীদের। পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‍্যাব, ঢাকা জেলা পুলিশ ও বিজিবির বিপুল সংখ্যক সদস্য। কিছুক্ষণ পরপরই টহল দিতে দেখা গেছে বিজিবির একাধিক সাজোয়া যানের। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শ্রমিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেনি। পরিস্থিতি সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-০১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সকালে ৫/৬ টি কারখানার শ্রমিকরা বের হয়েছে। এরপর সড়কের পাশের কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এর পর নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় লিবাস নিটওয়্যার, হাসান তানভীর ফ্যাশনসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহীম হোসেন বলেন, শ্রমিকরা জড়ো হয়ে আন্দোলন করতে চাইলে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

শ্রমিক অবরোধের কারণে সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় আন্দোলনের মুখে বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে এক নারী শ্রমিক নিহতের পর কোনাবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এরপরই নাওজোর এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ভাঙচুর করে এবং সড়কে কাঠ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে নাওজোড় এলাকায় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছিল। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। আমরা কোনো অ্যাকশনে যেতে চাচ্ছি না শ্রমিকরাও চাচ্ছে না। আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গাড়িতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার সকালে একদফা আন্দোলনের পর ফের দুপুরে আমবাগ এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাওজোড় এলাকায় বিক্ষোভে নামেন শত শত শ্রমিক। এ সময় তাঁরা ইসলামপুর এলাকায় নর্প নিটওয়্যার্স নামের একটি কারখানায় ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তেজিত শ্রমিকেরা ঢিল ছুড়ে বেশ কিছু গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে।

পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করলে শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। শ্রমিকদের সরে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এ প্রসঙ্গে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আট জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন।’