০২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাইল বেলজিয়াম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার। সেই সঙ্গে গাজার হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ঘটনার তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য মিডল ইস্ট মনিটর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ লাখ মানুষের বসতি গাজায় আগ্রাসনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং গাজায় হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলার তদন্ত করতে বুধবার বেলজিয়াম সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার।

বেলজিয়ামের এই উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে। জনবসতিতে নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো অমানবিক। এটা স্পষ্ট, বিশ্বব্যাপী গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যে দাবি রয়েছে সেটির প্রতি কোনও গুরুত্ব দেয় না ইসরায়েল।’

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উচিত হবে ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্থগিত করা। এবং ইসরায়েলি আক্রমণাত্মক বাসিন্দাসহ সেনা সদস্য যারা হামলায় জড়িত তাদের ইউরোপে ঢুকতে না পারার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান তিনি।

সেই সঙ্গে বেলজিয়াম সরকারের উচিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে অর্থ সহায়তা দেয়া যাতে তারা গাজায় ইসরায়েলিবোমা হামলার যথাযথভাবে তদন্ত কাজ করতে পারে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বরোচিত এই হামলার জেরে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ-ধিক্কার।

এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সাহায্য সংস্থা ইউএসএইড-এর এক হাজার কর্মী চিঠিতে সই করেছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তার তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে মত দেন। চিঠিতে তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিরুদ্ধে ভিন্নমত প্রকাশ করছেন। চিঠিটি গত সপ্তাহে ইউএসএইডের দেশীয় ও বিদেশি শাখায় পাঠানো হয়। স্থানীয় সময় বুধবার (৮ নভেম্বর) এক হাজার কর্মীর সাক্ষরিত চিঠিটি পায় সংস্থাটি।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাইল বেলজিয়াম

আপডেট : ০৮:০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার। সেই সঙ্গে গাজার হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ঘটনার তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য মিডল ইস্ট মনিটর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ লাখ মানুষের বসতি গাজায় আগ্রাসনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং গাজায় হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলার তদন্ত করতে বুধবার বেলজিয়াম সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার।

বেলজিয়ামের এই উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে। জনবসতিতে নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো অমানবিক। এটা স্পষ্ট, বিশ্বব্যাপী গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যে দাবি রয়েছে সেটির প্রতি কোনও গুরুত্ব দেয় না ইসরায়েল।’

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উচিত হবে ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্থগিত করা। এবং ইসরায়েলি আক্রমণাত্মক বাসিন্দাসহ সেনা সদস্য যারা হামলায় জড়িত তাদের ইউরোপে ঢুকতে না পারার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান তিনি।

সেই সঙ্গে বেলজিয়াম সরকারের উচিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে অর্থ সহায়তা দেয়া যাতে তারা গাজায় ইসরায়েলিবোমা হামলার যথাযথভাবে তদন্ত কাজ করতে পারে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বরোচিত এই হামলার জেরে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ-ধিক্কার।

এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সাহায্য সংস্থা ইউএসএইড-এর এক হাজার কর্মী চিঠিতে সই করেছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তার তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে মত দেন। চিঠিতে তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিরুদ্ধে ভিন্নমত প্রকাশ করছেন। চিঠিটি গত সপ্তাহে ইউএসএইডের দেশীয় ও বিদেশি শাখায় পাঠানো হয়। স্থানীয় সময় বুধবার (৮ নভেম্বর) এক হাজার কর্মীর সাক্ষরিত চিঠিটি পায় সংস্থাটি।