ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কোনো মানবিক সঙ্কট নেই বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কর্নেল মোশে তেত্রো বলেন, ‘আমারা জানি গাজা উপত্যকার বেসামরিক পরিস্থিতি সুবিধাজনক নয়। তবে সেখানে কোনো মানবিক সঙ্কট নেই।’
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজায় বেসামরিক বিষয়গুলো পরিচালনাকারী ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংস্থা কোগ্যাটের যোগাযোগ ও সমন্বয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কর্নেল মোশে তেত্রো। গতকাল ইসরায়েল ও মিশরের নিতজানা সীমান্ত চৌকিতে সংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৭ অক্টোবর গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলের ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়। এ ছাড়া হামাস জিম্মি করেছে অন্তত ২৪০ জন। এ হামলার পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই শিশু।
৯ অক্টোবর থেকে গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। তবে সীমিত পরিসরে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক জিনিসপত্র প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমাদের চোখের সামনে সারা বিশ্ব একটি মানবিক বিপর্যয় দেখছে।
কর্নেল মোশে তেত্রো আরও বলেন, মিসরের রাফাহ ক্রিসং দিয়ে প্রবেশ করা ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো তদারকি করছে ইসরায়েলের সেনারা। তারা শরণার্থী শিবিরগুলোতে খাদ্য, পানি, ওষুধসহ যবতীয় মানবিত সহায়তা পৌঁছানোর ব্যাপারে সাহায্য করছে।
মোশে তেত্রো সতর্ক করে বলেন, হামাস যোদ্ধাদের যদি এসব মানবিক সহায়তা ব্যবহার করতে দেখি, তবে আমরা এসব ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।
২১ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ৭০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তেত্রো। তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় ওসিএইচএ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর আগে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে প্রতিদিন ৫০০টি ট্রাক প্রবেশ করত।