১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমেছে ডিম-সবজির দাম, চড়া চাল-মাছের বাজার

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বেড়েছে চাল, চিনি ও পেঁয়াজের দাম। বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরের নিচে কোনো সবজি কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। কয়েকদির আগেও প্রায় সব ধরনের সবজিই ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার ঘরে। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। যদিও এখনো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। সে কারণে মাছের বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৎস্যখাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং চলমান অবরোধের কারণে চড়া যাচ্ছে মাছের বাজার। দাম বাড়া ও কমার মধ্যে থাকছে মুরগি। শুধু কমেছে ডিমের দাম। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দরদামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, একইভাবে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

এসব বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা আগে কেজি ছিল ৭০-৭৫ টাকা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি, যা আগে কেজি ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ভারতীয় কেরেলার আদার কেজি ১৮০-২০০ টাকা। চায়না রসুনের কেজি ১৮০-২০০ টাকা এবং দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি।

সবজির দামের বিষয়ে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, শীত মৌসুম প্রায় চলে আসার কারণে সব ধরনের সবজির দামই আগের চেয়ে কমেছে। পুরো শীতে এসবের দাম আরও কমবে। তবে বর্তমানে দেশে হরতাল-অবরোধ চলার কারণে পরিবহন ভাড়া আগের চেয়ে বেড়ে গেছে এবং পরিবহন পাওয়াও কঠিন। এসব কারণ না থাকলে বর্তমান বাজারের চেয়েও আরও কম দামে সবজি পাওয়া যেত।

অন্যদিকে, সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাস মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, টাকি মাছ ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি গলদা চিংড়ি ১১০০ টাকা ও সাইজে একটু ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি আইড় মাছের দাম ৭০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও রুপচাঁদা আকৃতিভেদে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা, ছোট সাইজের বাইম মাছ প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি শোল মাছ প্রতি কেজি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাড়তি দামের কারণ জানিয়ে মহাখালী বাজারের মাছ বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, মাছের এরকম দাম আরও অনেক আগেই থেকেই চলছে। তবে হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে মাছ কম সরবরাহ হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বর্তমানে বাড়তি। এসব মিলিয়েই বর্তমানে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে। তবে যখন থেকে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, মূলত সেই সময় থেকেই মাছের দাম বেড়েছে। এরপর আর কমেনি। সেইসঙ্গে বর্তমান হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন সংকটে মাছের দর আরেক দফা বাড়তি যাচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি (৪ পিচ) বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পাশাপাশি বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০৫০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, যা আগে কেজি ছিল ১৩৫-১৪০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

বাজারে কমেছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ টাকা। আর এখন পাড়া-মহল্লার দোকানে হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়।

হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, আগে ছিল ৭৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০ টাকা।

বাজারে ২৮ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। আগে কেজি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। পাইজাম চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকায়। নাজিরশাল চালের কেজি ৬৮ টাকা, আগে বিক্রি হত ৬৫ টাকায়। ভালো মানের নাজিরশাল চালের কেজি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। পোলাওয়ের চালের কেজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের চাল বিক্রেতা মো. কামাল বলেন, চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। বাজারে নতুন চাল এলে আবারও দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন বাজারে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী প্রীতম সাহা বলেন, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবুও ৫০-৬০ টাকার নিচে কিছুই নেই। যদিও কয়েকদিন আগে এসব সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিন্তু মাছের দার এখনো অনেক বেশিই যাচ্ছে। অল্প কিছু পাঙাস, তেলাপিয়া ও চাষের কই মাছ তাও কেনা যায়। কিন্তু ভালো কোনো মাছই আমরা কিনে খেতে পারি না। কারণ ওইসব মাছের দাম এতটাই বেশি যে, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা শখ করে ছাড়া কিনতে পারছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

কমেছে ডিম-সবজির দাম, চড়া চাল-মাছের বাজার

আপডেট : ০৬:২১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বেড়েছে চাল, চিনি ও পেঁয়াজের দাম। বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরের নিচে কোনো সবজি কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। কয়েকদির আগেও প্রায় সব ধরনের সবজিই ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার ঘরে। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। যদিও এখনো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। সে কারণে মাছের বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৎস্যখাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং চলমান অবরোধের কারণে চড়া যাচ্ছে মাছের বাজার। দাম বাড়া ও কমার মধ্যে থাকছে মুরগি। শুধু কমেছে ডিমের দাম। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দরদামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, একইভাবে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

এসব বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা আগে কেজি ছিল ৭০-৭৫ টাকা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি, যা আগে কেজি ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ভারতীয় কেরেলার আদার কেজি ১৮০-২০০ টাকা। চায়না রসুনের কেজি ১৮০-২০০ টাকা এবং দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি।

সবজির দামের বিষয়ে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, শীত মৌসুম প্রায় চলে আসার কারণে সব ধরনের সবজির দামই আগের চেয়ে কমেছে। পুরো শীতে এসবের দাম আরও কমবে। তবে বর্তমানে দেশে হরতাল-অবরোধ চলার কারণে পরিবহন ভাড়া আগের চেয়ে বেড়ে গেছে এবং পরিবহন পাওয়াও কঠিন। এসব কারণ না থাকলে বর্তমান বাজারের চেয়েও আরও কম দামে সবজি পাওয়া যেত।

অন্যদিকে, সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাস মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, টাকি মাছ ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি গলদা চিংড়ি ১১০০ টাকা ও সাইজে একটু ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি আইড় মাছের দাম ৭০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও রুপচাঁদা আকৃতিভেদে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা, ছোট সাইজের বাইম মাছ প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি শোল মাছ প্রতি কেজি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাড়তি দামের কারণ জানিয়ে মহাখালী বাজারের মাছ বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, মাছের এরকম দাম আরও অনেক আগেই থেকেই চলছে। তবে হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে মাছ কম সরবরাহ হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বর্তমানে বাড়তি। এসব মিলিয়েই বর্তমানে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে। তবে যখন থেকে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, মূলত সেই সময় থেকেই মাছের দাম বেড়েছে। এরপর আর কমেনি। সেইসঙ্গে বর্তমান হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন সংকটে মাছের দর আরেক দফা বাড়তি যাচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি (৪ পিচ) বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পাশাপাশি বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০৫০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, যা আগে কেজি ছিল ১৩৫-১৪০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

বাজারে কমেছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ টাকা। আর এখন পাড়া-মহল্লার দোকানে হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়।

হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, আগে ছিল ৭৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০ টাকা।

বাজারে ২৮ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। আগে কেজি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। পাইজাম চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকায়। নাজিরশাল চালের কেজি ৬৮ টাকা, আগে বিক্রি হত ৬৫ টাকায়। ভালো মানের নাজিরশাল চালের কেজি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। পোলাওয়ের চালের কেজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের চাল বিক্রেতা মো. কামাল বলেন, চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। বাজারে নতুন চাল এলে আবারও দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন বাজারে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী প্রীতম সাহা বলেন, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবুও ৫০-৬০ টাকার নিচে কিছুই নেই। যদিও কয়েকদিন আগে এসব সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিন্তু মাছের দার এখনো অনেক বেশিই যাচ্ছে। অল্প কিছু পাঙাস, তেলাপিয়া ও চাষের কই মাছ তাও কেনা যায়। কিন্তু ভালো কোনো মাছই আমরা কিনে খেতে পারি না। কারণ ওইসব মাছের দাম এতটাই বেশি যে, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা শখ করে ছাড়া কিনতে পারছে না।