ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কক্সবাজারের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হলো সারা দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আইকনিক স্টেশন ও রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পূরণ হয়েছে কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। আজ শনিবার বেলা ১টার সময় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এখন থেকে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেনে যেতে পারবেন যাত্রীরা।

উদ্বোধন কার্যক্রম শেষে কক্সবাজার থেকে ট্রেনে চড়ে রামু যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। সেখানে লাখো মানুষ জড়ো করার প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের।

আজ উদ্বোধন হলেও এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর। প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, ঢাকা থেকে সর্বনিম্ন ১৮৮ টাকায় পর্যটন নগরীতে পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার রওনা হবে ট্রেনটি, পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। দুপুর ১টায় কক্সবাজার ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফিরবে ঢাকায়।

পর্যায়ক্রমে ৫৫১ কিলোমিটার দূরত্বের এই রুটে আরও ট্রেন বাড়ানো হবে। রেলওয়ের এই আইকনিক স্টেশনটিতে ধীরে ধীরে যাত্রীদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা চালু হবে বলে জানান রেল মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

এই রেলস্টেশন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরীর সঙ্গে যোগাযোগের নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। পর্যটনের বাইরেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এই মেগা প্রকল্প।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কয়েকদিন আগে। এবার প্রথম কর্ণফুলী-সাঙ্গু-মাতামুহুরীর ওপারে যাচ্ছে ট্রেন। চুনতি অভয়ারণ্যের অনিন্দ্য সবুজ আর রামুর ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ের দেখা মিলবে ট্রেনের আঁকাবাঁকা পথে যেতে।

এর আগে, ৭ নভেম্বর শুরু ছিল এই রেলপথের ট্রায়াল। বাণিজ্যিকভাবে রেল চলাচল শুরু ১ ডিসেম্বর। প্রথমবার রেল নেটওয়ার্কে কক্সবাজারের অন্তর্ভুক্তি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের পাশাপাশি আরও সহজ হবে পণ্য পরিবহন।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলছেন, এ রেলপথ দেশের অর্থনীতিতে যোগ করবে অন্য এক মাত্রা।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, এই রেলপথ দেশের জন্য একটি মাইলফলক। এই স্টেশনে থাকছে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ নানা সুবিধা যা একটি ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি এনভায়র্নমেন্ট তৈরিতে সহায়ক।

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একশ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কক্সবাজারের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হলো সারা দেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

আইকনিক স্টেশন ও রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পূরণ হয়েছে কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। আজ শনিবার বেলা ১টার সময় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এখন থেকে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেনে যেতে পারবেন যাত্রীরা।

উদ্বোধন কার্যক্রম শেষে কক্সবাজার থেকে ট্রেনে চড়ে রামু যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। সেখানে লাখো মানুষ জড়ো করার প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের।

আজ উদ্বোধন হলেও এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর। প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, ঢাকা থেকে সর্বনিম্ন ১৮৮ টাকায় পর্যটন নগরীতে পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার রওনা হবে ট্রেনটি, পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। দুপুর ১টায় কক্সবাজার ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফিরবে ঢাকায়।

পর্যায়ক্রমে ৫৫১ কিলোমিটার দূরত্বের এই রুটে আরও ট্রেন বাড়ানো হবে। রেলওয়ের এই আইকনিক স্টেশনটিতে ধীরে ধীরে যাত্রীদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা চালু হবে বলে জানান রেল মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

এই রেলস্টেশন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরীর সঙ্গে যোগাযোগের নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। পর্যটনের বাইরেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এই মেগা প্রকল্প।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কয়েকদিন আগে। এবার প্রথম কর্ণফুলী-সাঙ্গু-মাতামুহুরীর ওপারে যাচ্ছে ট্রেন। চুনতি অভয়ারণ্যের অনিন্দ্য সবুজ আর রামুর ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ের দেখা মিলবে ট্রেনের আঁকাবাঁকা পথে যেতে।

এর আগে, ৭ নভেম্বর শুরু ছিল এই রেলপথের ট্রায়াল। বাণিজ্যিকভাবে রেল চলাচল শুরু ১ ডিসেম্বর। প্রথমবার রেল নেটওয়ার্কে কক্সবাজারের অন্তর্ভুক্তি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের পাশাপাশি আরও সহজ হবে পণ্য পরিবহন।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলছেন, এ রেলপথ দেশের অর্থনীতিতে যোগ করবে অন্য এক মাত্রা।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, এই রেলপথ দেশের জন্য একটি মাইলফলক। এই স্টেশনে থাকছে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ নানা সুবিধা যা একটি ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি এনভায়র্নমেন্ট তৈরিতে সহায়ক।

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একশ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে।