০৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ

সেমিফাইনালের দৌড়ে যে এ ম্যাচে পাকিস্তানের আর পাওয়ার কিছু নেই, তা ম্যাচের আগেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। আগে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডকে অবিশ্বাস্য ব্যবধানে হারালেই কেবল পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব হতো। ইংল্যান্ড টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়ায় শুরুতেই পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ। কাগজে-কলমে তা শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড ইনিংসের ওভার দশেক যেতে না যেতেই।

পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটা তখন বিশ্বকাপ থেকে অন্তত শেষ ম্যাচে জয়ের ‘সম্মান’ নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জন্য ম্যাচটা জিতে পাকিস্তানেরই আয়োজনে ২০২৫ সালে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু এর আগে পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ আবার কলকাতায় ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের এ ম্যাচে তখন পাকিস্তানের পথে তাকিয়ে। সমীকরণের হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে পাকিস্তান যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিত, তাহলে যে আজই নিশ্চিত হয়ে যেত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের ইনিংস থেমেছে ৩৩৭ রানে। নিউজিল্যান্ডকে টপকে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা পেতে হলে ৬.৪ ওভারে ৩৩৮ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে হবে বাবর আজমদের। ম্যাচ শেষের আগেই তাই কার্যত বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল ম্যান ইন গ্রিনদের।

নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হওয়া ম্যাচটিতে পাকিস্তানের এখন একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করা। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮১ বলে ৮২ রান।

এই ম্যাচের আগেই অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালান। নিজের সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি গড়ে দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে ১৪তম ওভারে ইফতিখার আহমেদের বলে সাজঘরে ফেরেন ৩৯ বলে ৩১ রান করে। এরপর অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো। ৬১ বলে ৫৯ করে হারিস রউফের বলে আউট হন ইংলিশ এই ওপেনার।

বিশ্বকাপজুড়ে ইংল্যান্ডকে ভুগিয়েছে তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। আজ যেন চেনা ছন্দে ফিরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে জো রুট এবং বেন স্টোকস মিলে যোগ করেন ১৩১ বল থেকে ১৩২ রান করেন। তাতে দলীয় সংগ্রহ দুইশ ছাড়ায়।

৪১ তম ওভারে শাহিন আফ্রিদি যখন ব্রেকথ্রু এনে দিলেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে পাকিস্তানের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান স্টোকস এদিন ৭৬ বলে ৮৪ রান করেন। স্টোকসের পর রুটকেও সাজঘরে পাঠান শাহিন। শেষ পর্যন্ত হ্যারি ব্রুক (৩০ রান) ও অধিনায়ক জস বাটলারের (২৭ রান) ছোটখাটো ক্যামিওতে ইংল্যান্ডের রান তিনশ’ ছাড়িয়েছে।

ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে স্টোকসের ব্যাট থেকে। আর পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চে ৩ উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ ও ২টি করে উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।

পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ

আপডেট : ০৪:২৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

সেমিফাইনালের দৌড়ে যে এ ম্যাচে পাকিস্তানের আর পাওয়ার কিছু নেই, তা ম্যাচের আগেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। আগে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডকে অবিশ্বাস্য ব্যবধানে হারালেই কেবল পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব হতো। ইংল্যান্ড টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়ায় শুরুতেই পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ। কাগজে-কলমে তা শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড ইনিংসের ওভার দশেক যেতে না যেতেই।

পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটা তখন বিশ্বকাপ থেকে অন্তত শেষ ম্যাচে জয়ের ‘সম্মান’ নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জন্য ম্যাচটা জিতে পাকিস্তানেরই আয়োজনে ২০২৫ সালে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু এর আগে পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ আবার কলকাতায় ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের এ ম্যাচে তখন পাকিস্তানের পথে তাকিয়ে। সমীকরণের হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে পাকিস্তান যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিত, তাহলে যে আজই নিশ্চিত হয়ে যেত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের ইনিংস থেমেছে ৩৩৭ রানে। নিউজিল্যান্ডকে টপকে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা পেতে হলে ৬.৪ ওভারে ৩৩৮ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে হবে বাবর আজমদের। ম্যাচ শেষের আগেই তাই কার্যত বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল ম্যান ইন গ্রিনদের।

নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হওয়া ম্যাচটিতে পাকিস্তানের এখন একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করা। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮১ বলে ৮২ রান।

এই ম্যাচের আগেই অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালান। নিজের সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি গড়ে দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে ১৪তম ওভারে ইফতিখার আহমেদের বলে সাজঘরে ফেরেন ৩৯ বলে ৩১ রান করে। এরপর অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো। ৬১ বলে ৫৯ করে হারিস রউফের বলে আউট হন ইংলিশ এই ওপেনার।

বিশ্বকাপজুড়ে ইংল্যান্ডকে ভুগিয়েছে তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। আজ যেন চেনা ছন্দে ফিরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে জো রুট এবং বেন স্টোকস মিলে যোগ করেন ১৩১ বল থেকে ১৩২ রান করেন। তাতে দলীয় সংগ্রহ দুইশ ছাড়ায়।

৪১ তম ওভারে শাহিন আফ্রিদি যখন ব্রেকথ্রু এনে দিলেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে পাকিস্তানের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান স্টোকস এদিন ৭৬ বলে ৮৪ রান করেন। স্টোকসের পর রুটকেও সাজঘরে পাঠান শাহিন। শেষ পর্যন্ত হ্যারি ব্রুক (৩০ রান) ও অধিনায়ক জস বাটলারের (২৭ রান) ছোটখাটো ক্যামিওতে ইংল্যান্ডের রান তিনশ’ ছাড়িয়েছে।

ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে স্টোকসের ব্যাট থেকে। আর পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চে ৩ উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ ও ২টি করে উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।