চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকার হটানো যায় না : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০২:২৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকার হটানো যায় না। তারা (বিএনপি) অবরোধের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষকে আহত করছে। পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করছে। বিএনপির এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি।
বিএনপির কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দলটির নেতা কোথায়? এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়া জেলে। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি। এটা করেছি আমার ক্ষমতাবলে। আর তার ছেলে তারেক জিয়া ২০০৭ সালে রাজনীতি করবে না- এই মুচলেকা দিয়ে লন্ডন গিয়ে বসে আছে। ও এত টাকা কোথায় পায়? জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছে। ও অস্ত্র চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত, মানিলন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত।’
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প ও সার কারখানা উদ্বোধন শেষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তারেক রহমানের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান পালিয়ে থাকে লন্ডনে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে যায়। লন্ডনে বসে সে এখানে আগুন জ্বালাতে বলে। আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে তাহলে বাংলাদেশে ফিরে আয়। আমরা একটু দেখি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একসময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। ভোটের ও ভাতের অধিকার ছিল না। মিলিটারি ডিক্টেটররা দেশে এগুলো করেছে। আমরা আন্দোলন করে ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন দেশে ভাতের সংকট নেই। তরকারি ও শাকসবজি এখন ভরপুর। আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিক্ষার্থীদের এখন টাকা দিয়ে বই কিনতে হয় না। আমরা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তির আওতায় এনেছি। আমরা জানি খালেদা জিয়া ও তার দলের লোকেরা চায় না- দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির সামনে এসে আন্দোলন করার সাহস নেই। তারা এখন গলিপথ থেকে বেরিয়ে এসে চোরাগুপ্তা হামলা করে অবরোধ পালন করছে। তারা প্রকাশ্যে পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করেছে। তাদের হাত থেকে অন্তঃস্বত্ত্বা নারীরাও মুক্তি পাচ্ছে না।’
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি হাসপাতাল করে দিয়েছি। আমরা ২৯ লাখ মানুষকে প্রতিবন্ধি ভাতা দিয়ে আসছি।’
জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ বিশ্বব্যাপী জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমরা তা কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। খালেদা জিয়া দেশ একটু বিদ্যুৎও দিতে পারেনি।’
অনুষ্ঠানে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি, শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরু (বীরপ্রতীক), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, গাজীপুরের কালীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের (নরসিংদী গাজীপুর জেলার দায়িত্ব) সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাউসার ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।