গায়েবি মামলায় পাইকারি হারে বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০২:২২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
গায়েবি মামলায় পাইকারি হারে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নব্য নাৎসি কায়দায় সরকার আবার নতুন করে গুমের উৎসব শুরু করেছে। প্রতিটি শহর-বন্দর জনপদে এখন সাদা পোষাকধারীদের হাড় হিম করা আতঙ্ক। দিনে-রাতে তারা কালো কাচে ঢাকা মাইক্রোবাসে নাৎসি বাহিনীর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোঁ মেরে তুলে নিচ্ছে গণতন্ত্রকামীদের। আন্দোলনরত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের না পেলে তাদের পিতা-মাতা, পুত্র-সন্তান, ভাই-বোন এবং আত্মীয় স্বজনদেরও ধরে নিয়ে অদৃশ্য করে রাখছে। তুলে নিয়ে গিয়েও অস্বীকার করা হচ্ছে।’
প্রতিবাদী মানুষের ওপর আর নির্যাতন না চালাতে পুলিশের কতিপয় অতিউৎসাহী সদস্যদের সতর্ক করেন রুহুল কবির রিজভী। দেশের জনগণ সব হিসাব রাখছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গণঅভ্যুত্থান তাদের পরিণতিও জনগণ তা ঠিক করবে। তিনি বলেন, একাধিক গার্মেন্ট কর্মীকে বিনা দোষে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের মতো জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে নামধারী আওয়ামী পুলিশ লীগ। কোথাও কোথাও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে বাথরুম থেকে পানি এনে বাসার সব বিছানায় ঢেলে দিয়েছে তারা। সারা দেশে দলদাস পুলিশ বাহিনী বিনা মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে বা গায়েবি মামলায় পাইকারি হারে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তুলে নিয়ে গিয়ে বন্দি অবস্থায় অনেককে কোমর থেকে পায়ের তালু অবধি হাতুড়িপেটা করে অচল করে দেওয়া হচ্ছে। এসব চরম মানবতাবিরোধী, যা বাংলাদেশ স্বাক্ষরকৃত জাতিসংঘের কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার (নির্যাতন বিরোধী কমিটি-ক্যাট) এবং নিপীড়নবিরোধী আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ইউএটি) অনুযায়ী একটি গণবিরোধী ভয়াবহ অপরাধ। যা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
গত ২৪ ঘণ্টার সারাদেশে ৩৬৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান রিজভী। ১১ হাজার গার্মেন্ট কর্মীর নামে মামলা দিয়ে এই খাত অন্য দেশের কাছে তুলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় খাত পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) পুনরায় ৭৪ এর মতো দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চান, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে চান। বাংলাদেশের মালিকরা গত শনিবার সরকারের প্ররোচনায় ১৫০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। ন্যায্য দাবি আদায়ের বিক্ষোভের দায়ে ১১ হাজার শ্রমিককে অভিযুক্ত করে মামলা করেছে দলদাস পুলিশ সরকারের নির্দেশে।’
দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের কথা বলা মানায় না।