০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেমন ছিলো চর্তুথ দফা অবরোধের প্রথমদিন

চর্তুথ দফা অবরোধের প্রথম দিনের শুরুতে রাজধানীতে যানবাহন কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা বেড়েছে। গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও বরাবরের মত রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে রাজপথ। তবে যাত্রীর অভাবে রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। নাশকতা রুখতে সর্তক অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চর্তুথ দফা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

অবরোধের সমর্থনে গুলশান, ক্ষিলক্ষেত ও ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল করেছে বিএনপি। ধানমন্ডির মিছিল থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন রাজিবসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

কর্মসূচি বাস্তবায়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ারীঘাট, বিজয়নগর-পল্টনসহ বেশ কয়েক জায়গায় মিছিল করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। মিছিল থেকে নির্দলয়ীর সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান তারা।

অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর সায়দাবাদ, মহাখালী, পল্লবী, মিরহাজিরবাগ এলাকায় মিছিল করে যুবদল। আর মিরহাজিরবাগে মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।

চর্তুথ দফা অবোরোধের সমর্থনে রাজধানীর ১২টি স্পটে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। এসময় সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি তত্তাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান তারা।

অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে বিএনপি সমমমনা কয়েকটি বিরোধী দলও। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তোপখানা রোড এলাকায় মিছিল করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। মিছিলটি পুরানা পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

অবরোধের সমর্থনে পল্টন এলাকায় মিছিল করে গণ অধিকার পরিষদ ও বার দলীয় জোট। আরামবাগ থেকে শুরু করে মতিঝিল শাপলা চত্বর ঘুরে নটরডেম কলেজ পর্যন্ত মিছিল করে গণফোরাম।

পল্টন এলাকায় মিছিল করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। মিছিলটি পল্টন মোড় থেকে কাকরাইল ঘুরে বিজয়নগর এলাকায় শেষ হয়।

এদিকে, যাত্রী সংকটে চতুর্থ দফার প্রথম দিনেও রাজধানী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। রাজধানীতে কিছু গণপরিবহন চললেও যাত্রী কম বলে জানিয়েছেন চালকরা। তবে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কম।

এদিকে, চতুর্থ দফায় বিএনপির অবরোধে রোববার সারা দেশে আরও তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর–১০ গোলচত্বরে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।

এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী এলাকায় আরও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর আদমজী ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কাজ করেছে। রোববার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টা ২০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস এই আগুনের সংবাদ পায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তেজগাঁও নাবিস্কো এলাকায় একটি বাসে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে।

এর আগে গত শনিবার রাতে আরামবাগ, গুলিস্থান, গাবতলী, শ্যামলী, আগারগাঁও ও যাত্রাবাড়িতে মোট ৬টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে আরামবাগে পুলিশ বক্সের পাশে এবং গাবতলীতে বাসস্ট্যান্ডের সামনে আগুন দেওয়া হয়।

শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে আরামবাগে লাল-সবুজ পরিবহনের বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দুটি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাবতলীতে বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে কল্যাণপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্যামলীতেও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

এছাড়া গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয় রাত ৯টার পর। যাত্রাবাড়ির ফলপট্টির সামনে একটি বাসে আগুন দিলে জব্বার মিয়া নামে এক যাত্রী দগ্ধ হন। তাঁকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আরও একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের দিন থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১১০টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর ১টি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি ও ৬ নভেম্বর ১০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বিএনপি–জামায়াতের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের মধ্যে রাজধানীতে ৬৪টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে দলটি। পরে সেই হরতালে সমর্থন জানায় জামায়াতে ইসলামী।

একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে দল দুটি। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮ থেকে ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

যেমন ছিলো চর্তুথ দফা অবরোধের প্রথমদিন

আপডেট : ০৩:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, রোববার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

চর্তুথ দফা অবরোধের প্রথম দিনের শুরুতে রাজধানীতে যানবাহন কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা বেড়েছে। গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও বরাবরের মত রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে রাজপথ। তবে যাত্রীর অভাবে রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। নাশকতা রুখতে সর্তক অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চর্তুথ দফা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

অবরোধের সমর্থনে গুলশান, ক্ষিলক্ষেত ও ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল করেছে বিএনপি। ধানমন্ডির মিছিল থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন রাজিবসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

কর্মসূচি বাস্তবায়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ারীঘাট, বিজয়নগর-পল্টনসহ বেশ কয়েক জায়গায় মিছিল করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। মিছিল থেকে নির্দলয়ীর সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান তারা।

অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর সায়দাবাদ, মহাখালী, পল্লবী, মিরহাজিরবাগ এলাকায় মিছিল করে যুবদল। আর মিরহাজিরবাগে মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।

চর্তুথ দফা অবোরোধের সমর্থনে রাজধানীর ১২টি স্পটে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। এসময় সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি তত্তাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান তারা।

অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে বিএনপি সমমমনা কয়েকটি বিরোধী দলও। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তোপখানা রোড এলাকায় মিছিল করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। মিছিলটি পুরানা পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

অবরোধের সমর্থনে পল্টন এলাকায় মিছিল করে গণ অধিকার পরিষদ ও বার দলীয় জোট। আরামবাগ থেকে শুরু করে মতিঝিল শাপলা চত্বর ঘুরে নটরডেম কলেজ পর্যন্ত মিছিল করে গণফোরাম।

পল্টন এলাকায় মিছিল করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। মিছিলটি পল্টন মোড় থেকে কাকরাইল ঘুরে বিজয়নগর এলাকায় শেষ হয়।

এদিকে, যাত্রী সংকটে চতুর্থ দফার প্রথম দিনেও রাজধানী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। রাজধানীতে কিছু গণপরিবহন চললেও যাত্রী কম বলে জানিয়েছেন চালকরা। তবে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কম।

এদিকে, চতুর্থ দফায় বিএনপির অবরোধে রোববার সারা দেশে আরও তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর–১০ গোলচত্বরে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।

এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী এলাকায় আরও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর আদমজী ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কাজ করেছে। রোববার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টা ২০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস এই আগুনের সংবাদ পায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তেজগাঁও নাবিস্কো এলাকায় একটি বাসে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে।

এর আগে গত শনিবার রাতে আরামবাগ, গুলিস্থান, গাবতলী, শ্যামলী, আগারগাঁও ও যাত্রাবাড়িতে মোট ৬টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে আরামবাগে পুলিশ বক্সের পাশে এবং গাবতলীতে বাসস্ট্যান্ডের সামনে আগুন দেওয়া হয়।

শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে আরামবাগে লাল-সবুজ পরিবহনের বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দুটি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাবতলীতে বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে কল্যাণপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্যামলীতেও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

এছাড়া গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয় রাত ৯টার পর। যাত্রাবাড়ির ফলপট্টির সামনে একটি বাসে আগুন দিলে জব্বার মিয়া নামে এক যাত্রী দগ্ধ হন। তাঁকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আরও একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের দিন থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১১০টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর ১টি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি ও ৬ নভেম্বর ১০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বিএনপি–জামায়াতের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের মধ্যে রাজধানীতে ৬৪টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে দলটি। পরে সেই হরতালে সমর্থন জানায় জামায়াতে ইসলামী।

একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে দল দুটি। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮ থেকে ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত।