গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সহকর্মী নিহতের প্রতিবাদে ও বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। রোববার (১২ নভেম্বর) সকালের দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আজ সোয়া ৮টার দিকে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক রাস্তা অবরোধ করেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তারা রাস্তা অবরোধ করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
অন্যদিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত গার্মেন্টস শ্রমিক মো. জামাল উদ্দিন (৪০) মারা গেছেন। তিনি ইসলাম গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। শনিবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, গাজীপুরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে জালাল উদ্দিন নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউর ৬ নম্বর বেডে মারা যান তিনি।
গত কিছুদিন ধরে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করে মজুরি বোর্ড। এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
এদিকে মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।