এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন ডেভিড ক্যামেরন
- আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
মাত্র একদিনের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল হয়ে গেল। গাজা ইস্যুতে পুলিশের সমালোচনা করায় মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। মন্ত্রণালয় বদল হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলির। তিনি হয়েছেন দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
লন্ডন পুলিশের সমালোচনা করায় পদচ্যুত করা হয় ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে। সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাঁকে মন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতির’ দাবিতে সম্প্রতি লন্ডনে করা বিক্ষোভে সহিংসতা উসকে দেওয়াও সুয়েলাকে বরখাস্ত করার আরেকটি কারণ।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে পুলিশের সমালোচনা করায় ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরখাস্তফিলিস্তিন ইস্যুতে পুলিশের সমালোচনা করায় ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরখাস্ত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে জেমস ক্লিভারলিকে, যিনি আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সবচেয়ে ‘অবাক করা’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ফিরিয়ে। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এই ক্যামেরন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) এক পোস্টে ক্যামেরন বলেন, ‘আমি গত সাত বছর প্রথম সারির রাজনীতিতে ছিলাম না। তবে আশা করছি, টানা ১১ বছর কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বে ও ছয় বছর দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার অভিজ্ঞতা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করবে।’
কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কিছু ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দ্বিমত ছিল। কিন্তু আমার মতে তিনি একজন দক্ষ ও দৃঢ় মানসিকতাসম্পন্ন।’
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলেছিলেন ডেভিড ক্যামেরন। ২০১০ সালে তুরস্ক সফরে গিয়ে তিনি এক মন্তব্যে বলেন, ‘গাজা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার।’